COVID-19

‘চাই পরিস্রুত জল ও বাতাস’

অতিমারি পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে পথ খুঁজে যাচ্ছেন বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০২১ ০৫:২০
Share:

ফাইল চিত্র

বাতাসে ছড়াতে পারে সার্স-কোভ-২। ক্রমেই জোরদার হচ্ছে এই দাবি। এ বার এই তত্ত্বকে স্বীকৃতি দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) এবং আমেরিকার ‘সেন্টারস ফর ডিজ়িজ় কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’ (সিডিসি)। সংক্রমণ ঠেকাতে ঘরের ভিতরে বায়ু চলাচল সঠিক রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের বক্তব্য, শরীর সুস্থ রাখার জন্য যেমন পরিস্রুত পানীয় জল চাই, তেমন বিশুদ্ধ বাতাসও দরকারি।

Advertisement

কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক লিডিয়া মোরাস্কা বলেন, ‘‘আমরা যে জল খাচ্ছি, সেটা পরিষ্কার কি না, তা নিয়ে আমরা নিশ্চিত থাকি। কিন্তু বাতাসে শ্বাস নিচ্ছি, সেটাও যে পরিশুদ্ধ হওয়া দরকার, তা ভাবি না। এ ব্যাপারেও কিন্তু নিশ্চিত হওয়া দরকার।’’ সম্প্রতি আন্তর্জাতিক জার্নাল ‘ল্যানসেট’-এ এই সংক্রান্ত একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, জ্বরজারি, শ্বাসপ্রশ্বাসের রোগে আক্রান্ত হওয়ার বিপদ অর্ধেক কমে যাবে যদি ঘরের বাতাস পরিষ্কার হয়। ১৪টি দেশের ৩৯ জন বিজ্ঞানী অংশ নিয়েছিলেন এই গবেষণায়। প্রত্যেকেই এই বিষয়ে সহমত।

অতিমারি পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে পথ খুঁজে যাচ্ছেন বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা। টিকাকরণের উপরে ভরসা রেখে আজ থেকে লকডাউন আরও এক ধাপ কমানো হল ব্রিটেনে। লোকে ফের পাবে যেতে পারবেন। ইনডোর কাফে, রেস্তরাঁ খুলে গেল। খুলল সিনেমা হলও। এত দিন পার্টি করা নিষিদ্ধ ছিল। নিয়ম ভেঙে করলে ১০ হাজার পাউন্ড পর্যন্ত জরিমানা। বন্ধ ছিল ধর্মীয় অনুষ্ঠানও। ফের সেই স্বাধীনতা দেওয়া হল আজ থেকে। আইনি অনুমতি পেল ৩০ জন পর্যন্ত জমায়েত। এ বার থেকে দু’টি পরিবার কোনও বদ্ধ জায়গায় দেখা করতে পারবে। কাফে, বার, রেস্তরাঁ খুলবে। বৃদ্ধাশ্রমে বাড়ির লোক আসতে পারবেন। স্কুলে মাস্ক পরা আর আবশ্যিক রইলো না। তবে মানুষ বেশি উচ্ছ্বসিত অন্য একটি বিষয়ে। ‘‘রাস্তায় কারও সঙ্গে দেখা হলে জড়িয়ে ধরায় আর বাধা রইল না,’’ বলছেন এক ব্রিটিশ তরুণী।

Advertisement

তবে দুশ্চিন্তা হিসেবে থেকেই যাচ্ছে ভারতীয় স্ট্রেন। সরকারের পক্ষ থেকে বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, ‘‘এক সঙ্গে লড়াই করে আজ একটা মাইলস্টোন ছুঁয়েছি। কিন্তু পরের ধাপটা পেরোতে খুব সাবধান থাকতে হবে।’’ ও দিকে পিছু হটছে সিঙ্গাপুর। ভারতীয় স্ট্রেনের ভয়ে ফের স্কুল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement