বাড়িওয়ালাকে সেই যুবকটি যে আইডেন্টিটি কার্ডটি দেখিয়েছিল, তাতে তার নাম লেখা ছিল- ব্রাহিম আবদেসলাম। ওই ভুয়ো কার্ড দেখিয়েই আরও তিন ষুবককে নিয়ে সে বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল প্যারিসের ববিনি এলাকায়, প্যারিস হামলার দিনকয়েক আগে। মধ্যবিত্ত ওই এলাকায় থাকেন ছোট, বড় ব্যবসায়ীরা। তাদের আচার-আচরণ, আদবকায়দা, সাজগোজ দেখে খুব পছন্দ হয়েছিল বাড়িওয়ালার। তিন দিন পর প্যরিসের একটি ক্যাফেতে পাওয়া গিয়েছিল আবদেসলামের লাশ। প্যারিস হামলার পরপরই যে আত্মঘাতী হয়েছিল। তার টি শার্টের তলায় পাওয়া যায় বিস্ফোরকের তার।
পড়ুন- আইএস সম্পর্কে চালু সাত ভ্রান্ত ধারণা
ফরাসি পুলিশ জানাচ্ছে, ওরাই ছিল প্যারিস হামলার চক্রী। মোট নয় জনের গ্রুপ। যাদের বেশির ভাগই হয় বেলজিয়াম বা ফ্রান্সের নাগরিক। যারা গোটা ইউরোপের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়িয়েছে গত কয়েক বছর ধরে বড় ধরনের হামলার ফন্দি এঁটে। তার জন্য গোপনে গোপনে প্রস্তুতি নিয়েছে। অস্ত্র জোগাড় করেছে। অস্ক্র চালানোর প্রশিক্ষণ নিয়েছে। অর্থ জোগাড় করেছে। তবে তারা কত দিন ধরে ওই হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল, ফরাসি পুলিশ এখনও তা জানতে পারেনি। শুধু এই টুকুই জানা গিয়েছে, হামলা চালানোর আগে তারা বেশ কিছু দিন ছিল সিরিয়া ও ইরাকে। সেখানে ইরাকের প্রাক্তন সেনা-কর্তাদের কাছে তারা অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। সকলেই মুসলিম পরিবারের সদস্য হলেও, তারা কেউই বিপ্লবী ছিল না। প্রত্যেকই মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। কিন্তু, গত এক-দেড় বছরে ওরা ইসলামিক স্টেটের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে পড়েছিল। আবদেলসামের সঙ্গে প্যারিস হামলার মূল চক্রী আবাউদের পরিচয় হয়েছিল বেলজিয়ামে। পরিচয় থেকে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। আবদেলসামের ভাই সালাহের সঙ্গে কিছু দিন বেলজিয়ামের জেলেও কাটিয়েছে আবাউদ। সালাহকে এখনও খুঁজছে ফরাসি পুলিশ।