শ্রীলঙ্কার সংঘর্ষে নিহত ১, উদ্বেগ রাষ্ট্রপুঞ্জের

শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের গণহত্যা-রোধী কমিটির বিশেষ উপদেষ্টা আদামা দিয়েং এবং সুরক্ষাদান সংক্রান্ত কমিটির বিশেষ উপদেষ্টা কারেন স্মিথ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

কলম্বো শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০১৯ ০২:৪৫
Share:

টহল: কলম্বোর উত্তরে ক্ষতিগ্রস্ত একটি মসজিদ। নজরদারি চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার। ছবি: এএফপি।

সরকার শান্তি রক্ষার আবেদন জানালেও শ্রীলঙ্কায় গোষ্ঠী সংঘর্ষ ক্রমশ জটিল হচ্ছে। দেশের মন্ত্রী এবং মুসলিম কংগ্রেসের নেতা রউফ হাকিম আজ জানিয়েছেন, উত্তর-পশ্চিম শ্রীলঙ্কায় সংঘর্ষে সোমবার নিহত হয়েছেন এক মুসলিম ব্যক্তি। ইস্টার বিস্ফোরণের পর থেকে গোটা দেশে একটু একটু করে অশান্তি ছড়াচ্ছিল। রবিবার থেকে ক্রমে তা গোষ্ঠী সংঘর্ষে পরিণত হয়েছে।

Advertisement

শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের গণহত্যা-রোধী কমিটির বিশেষ উপদেষ্টা আদামা দিয়েং এবং সুরক্ষাদান সংক্রান্ত কমিটির বিশেষ উপদেষ্টা কারেন স্মিথ। এক যৌথ বিবৃতিতে তাঁরা বলেছেন, ‘‘শ্রীলঙ্কায় বহুত্ববাদী সমাজ। এ দেশের নাগরিক হতে হলে সে ব্যক্তিকে বৌদ্ধ, হিন্দু, মুসলিম এবং খ্রিস্টানও হতে হবে।’’ দেশের সরকার এবং ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলির প্রতি তাঁদের বার্তা, ‘‘ঘৃণা এবং কুসংস্কার ছড়ানোর চেষ্টায় প্রশ্রয় দেবেন না। ধর্মের ভিত্তিতে শ্রীলঙ্কায় হিংসা বাড়তে দেখে রাষ্ট্রপুঞ্জ অত্যন্ত চিন্তিত।’’

আজ থেকে দেশ জুড়ে কার্ফু শিথিল করা হয়েছে। তবে উত্তর-পশ্চিম অংশে এখনও কার্ফু রয়েছে। সেখান থেকে প্রাণহানির খবর আসায় সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্ফু জারি রেখেছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ সিংহলীরা মুসলিমদের দোকানপাট, গাড়িতে হামলা চালাচ্ছে বলে দাবি পুলিশের। লাঠি ও অন্য অস্ত্র হাতে উন্মত্ত জনতা মসজিদ এবং বাড়িতেও চড়াও হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। যার জেরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। সোমবার রাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহে বলেছেন, সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে সেনা নামানো হয়েছে। এ ব্যাপারে সাধারণ মানুষের সহযোগিতাও চেয়েছেন তিনি। হিংসায় জড়িত থাকার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত ২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

এর মধ্যে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ইস্টার রবিবারের বিস্ফোরণের দিন তাজ সমুদ্র নামে একটি বিলাসবহুল হোটেলেও বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা করেছিল এক আত্মঘাতী জঙ্গি। তার মগজধোলাইয়ে হাত ছিল ব্রিটিশ-পাকিস্তানি ধর্মগুরু আঞ্জেম চৌধরির। ওই আত্মঘাতী বোমারু লন্ডনের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময়ে আঞ্জেমের সংস্পর্শে আসে। আপাতত ন্যাশনাল তৌহিদ জামাত (এনটিজে)-সহ মোট তিনটি জঙ্গি গোষ্ঠীকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে শ্রীলঙ্কা সরকার। ইস্টার বিস্ফোরণে নাম জড়িয়েছিল এনটিজে-র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন