Corona

অ্যান্টিবডির কাজ বুঝতে ইচ্ছাকৃত সংক্রমণ ল্যাবে

এ মাসেই শুরু হচ্ছে ট্রায়ালের প্রথম পর্ব। প্রথমে দেখা হবে, সব চেয়ে কম কী পরিমাণ ভাইরাস সংক্রমণ ঘটাতে পারে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২১ ০৭:৪০
Share:

ছবি রয়টার্স।

নতুন করে করোনা-ঢেউ আছড়ে পড়েছে প্রায় অর্ধেক বিশ্বে। দ্বিতীয় দফায় করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই। সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা কী ভাবে কাজ করছে, অ্যান্টিবডি কতটা কার্যকরী— এ সব জানতে এক বছর ব্যাপী ট্রায়াল শুরু হচ্ছে ব্রিটেনে। দায়িত্বে রয়েছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়।

Advertisement

ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারী স্বেচ্ছাসেবকেরা প্রত্যেকেই এক বার করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। বয়স ১৮ থেকে ৩০, অর্থাৎ সবচেয়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ। ট্রায়ালে তাঁদের ইচ্ছাকৃত ভাবে ফের করোনা সংক্রমণ ঘটানো হবে। দেখা হবে শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেম বা রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা এ বারে কী ভাবে লড়ে। একে বলা হচ্ছে ‘চ্যালেঞ্জ ট্রায়াল’। পুরোপুরি চিকিৎসক, বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণে থাকবেন অংশগ্রহণকারীরা।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষেধক বিশেষজ্ঞ হেলেন ম্যাকশেন একটি বিবৃতি দিয়ে বলেন, ‘‘প্রাকৃতিক ভাবে যাঁরা দ্বিতীয় বার সংক্রমিত হচ্ছেন, তাঁদের বিষয়টি আলাদা। এ ক্ষেত্রে পুরো বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে রাখা হচ্ছে। ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারীদের ল্যাবে সংক্রমণ ঘটানোর পরে পুরো পর্বটি নজরে রাখা হবে। সংক্রমণ ঘটার পরে শরীরে কী কী প্রতিক্রিয়া ঘটে, সবটা দেখা হবে।’’

Advertisement

এ মাসেই শুরু হচ্ছে ট্রায়ালের প্রথম পর্ব। প্রথমে দেখা হবে, সব চেয়ে কম কী পরিমাণ ভাইরাস সংক্রমণ ঘটাতে পারে। তার পর সেই ভাইরাসের মাধ্যমে ৬৪ জন অংশগ্রহণকারীকে সংক্রমিত করা হবে। দেখা হবে শরীরে কী প্রতিক্রিয়া হয়। পরবর্তী দু’সপ্তাহ ২৪ ঘণ্টা নজরবন্দি রাখা হবে ওই অংশগ্রহণকারীদের। হাসপাতালের একটি বিশেষ অংশে আলাদা করে রাখা হবে তাঁদের। নানাবিধ শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে, যেমন: ফুসফুসে সিটি স্ক্যান, হার্টের এমআরআই স্ক্যান।

প্রশ্ন উঠছে, ইচ্ছাকৃত ভাবে যে করোনা সংক্রমিত করা হচ্ছে, এঁদের থেকে অন্য কেউ আক্রান্ত হবেন না? ট্রায়ালে যুক্ত বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, অংশগ্রহণকারীদের ভাইরাস-মুক্তির বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পরেই তাঁদের হাসপাতালের কোয়রান্টিন সেন্টার থেকে ছাড়া হবে। তার আগে নয়। ম্যাকশেন বলেন, ‘‘এই ট্রায়াল করার অন্যতম কারণ, করোনা সংক্রমণের পরে কত দিন শরীরে অ্যান্টিবডি কার্যকরী থাকে, তা পরীক্ষা করে দেখা। শরীরের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থার কাজকর্ম একবার বুঝে ফেলা গেলে এবং দ্বিতীয় সংক্রমণ আটকানো গেলে, আরও কার্যকরী ভ্যাকসিন তৈরি করা যাবে। এ-ও বোঝা যাবে, কে সুরক্ষিত, কেন নয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement