নজরে: পাকিস্তানের ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুলে বুধবার ইসলামাবাদে বিক্ষোভ দেখায় বিরোধী দলগুলি। পরিস্থিতি সামাল দিতে শহরে টহল মহিলা পুলিশের। ছবি: রয়টার্স।
পাকিস্তানের মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে এক হাত নিল সুপ্রিম কোর্ট। ভোটের দিন কমিশনার ‘ঘুমোচ্ছিলেন’ বলে তিরস্কার করেছেন প্রধান বিচারপতি সাকিব নিসার। তবে লাহৌর কেন্দ্রে বিজয়ী ইমরান খানের প্রাপ্ত ভোট পুনর্গণনার আর্জিতে স্থগিতাদেশও দিয়েছেন। ওই মামলার জেরে ১১ অগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ‘শর্তসাপেক্ষে’ শপথ নিতে হবে ইমরানকে।
পাঁচটি কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন ইমরান। পাঁচটিতেই জিতেছেন। কিন্তু নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগে দু’টি কেন্দ্রে এখনও তাঁকে বিজয়ী ঘোষণা করেনি কমিশন। লাহৌর কেন্দ্রে মাত্র ৬৮০ ভোটে জিতেছিলেন ইমরান। ভোট গণনায় কারচুপি হয়েছিল বলে অভিযোগ তুলেছিল বিরোধী পিএমএল-এন। পুনর্গণনার দাবি নিয়ে আদালতের কাছে পিটিশন জমা দেন পিএমএল(এন) নেতা খাজা সাদ রাফিক।
ভোটে কারচুপির অভিযোগে মহাজোট বেঁধেছে ১১টি দল। ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-এ-ইনসাফ (পিটিআই) ছাড়া, বাকি সব দলের একই বক্তব্য, এই ভোট তারা মানে না। আজ তারা মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সর্দার মহম্মদ রাজার পদত্যাগের দাবি তুলে বিক্ষোভ দেখায়। ইতিমধ্যে, আজ পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি নিসার জানান, নির্বাচনের দিন তিনি তিন বার ফোন করেছিলেন রাজাকে। কিন্তু একবারও ফোন ধরেননি রাজা।
এত বিতর্কেও মধ্যেও অবশ্য ভাবী প্রধানমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ও তাঁর বাসভবন নিয়ে তোড়জোড় চলছে। ইমরানের দলের পক্ষ থেকে আজ জানানো হয়েছে, দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে সপ্তাহের কাজের দিনগুলো ‘পঞ্জাব হাউস’-এ মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের একটি অংশেই থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। আর সপ্তাহান্তে নিজের বানিগালার বাড়িতে থাকবেন।
সারা বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা নিয়ে বাংলায় খবর পেতে চোখ রাখুন আমাদের আন্তর্জাতিক বিভাগে।