দেশের অর্থ সঙ্কটে উদ্বিগ্ন পাক প্রধানমন্ত্রী

পাকিস্তানের আর্থিক সঙ্কট এখন কতটা প্রকট, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিজের প্রথম ভাষণেই সে কথা স্পষ্ট করলেন ইমরান খান। জানালেন, আগে ঠিক যেমনটা বলেছিলেন, সেই মতোই প্রধানমন্ত্রীর বিলাসবহুল সরকারি বাসভবনে না থেকে সেনা সচিবের তিন কামরার বাড়িতে থাকবেন তিনি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ইসলামাবাদ শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০১৮ ০৩:০০
Share:

ইমরান খান। ফাইল চিত্র।

পাকিস্তানের আর্থিক সঙ্কট এখন কতটা প্রকট, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিজের প্রথম ভাষণেই সে কথা স্পষ্ট করলেন ইমরান খান। জানালেন, আগে ঠিক যেমনটা বলেছিলেন, সেই মতোই প্রধানমন্ত্রীর বিলাসবহুল সরকারি বাসভবনে না থেকে সেনা সচিবের তিন কামরার বাড়িতে থাকবেন তিনি। ইমরানের সাফ কথা, ‘‘এখনই দিশা না বদলালে ভয়াবহ বিপর্যয়ের দিকে এগিয়ে যাবে দেশ।’’

Advertisement

গত কাল রাতে দেশবাসীর উদ্দেশে বক্তৃতা দেন নতুন পাক-প্রধানমন্ত্রী। যার মধ্যে একটা বড় অংশ ছিল পাকিস্তানের আর্থিক সঙ্কট আর ঋণের পরিমাণ নিয়ে। ইমরান জানান, পাকিস্তান সরকারের এখন ২৮ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ রয়েছে। আর তার সঙ্গেই যে পরিমাণ সুদ রয়েছে সেটা মেটাতে সরকারকে আরও ঋণ নিতে হবে। এই পরিস্থিতির জন্য প্রাক্তন নওয়াজ় শরিফ সরকারকে এক হাত নিয়েছেন পাকিস্তান তেহরিক-এ-ইনসাফ প্রধান। বলেছেন, ‘‘গত দশ বছরে দেশের উপর এতটা আর্থিক বোঝা চাপানো হয়েছে, স্বাধীনতার পর থেকে যা কখনও হয়নি।’’ গোটা পরিস্থিতি সামলাতে একটি টাস্ক ফোর্স গঠনের কথাও জানান ইমরান। সেই সঙ্গেই দেশের সাধারণ মানুষের প্রতি তাঁর আহ্বান, ‘‘এই সঙ্কট থেকে দেশকে উদ্ধার করতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।’’ পাক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি যে একেবারে অনাড়ম্বর জীবন কাটাতে চান, সে কথাও উল্লেখ করেছেন ভাষণে। বলেছেন, ‘‘এক জন প্রধানমন্ত্রীর জন্য যে বাড়ি এখানে রাখা হয়েছে, তা দেখে মনে হতেই পারে যে, আমরা এখনও ঔপনিবেশিক যুগে রয়েছি।’’ ইমরান জানিয়েছেন সেনা সচিবের বাড়িতে তিনি মাত্র দু’জন পরিচারককে সঙ্গে নিয়েছেন। তাঁর ইচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার জায়গা হিসেবে তুলে ধরা হোক প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনকে।

ইমরান আরও জানান, অবৈধ ভাবে দেশের টাকা যাঁরা বাইরে পাচার করেছেন, সে সব ফেরত আনবেন তিনি। নাম না করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শরিফের দুর্নীতি মামলারও উল্লেখ করেছেন তিনি। বলেছেন, ‘‘এ ভাবে দেশবাসীর টাকা যাঁরা নয়ছয় করেছেন, তাঁরাই আসল অপরাধী।’’

Advertisement

শুধু আর্থিক সঙ্কটই নয়, দেশের শিশুদের সুরক্ষা নিয়েও উদ্বেগ জানান পাক প্রধানমন্ত্রী। শিশু-যৌন হেনস্থাকারীরা যাতে সর্বোচ্চ শাস্তি পায়, সেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। শিশু স্বাস্থ্যের দিকে তাঁর সরকার বিশেষ নজর দেবে বলেও জানান। তাঁর কথায়, ‘‘এ দেশে শিশু মৃত্যুর হার এত বেশি যে বিশ্বের প্রথম ৫ দেশের মধ্যে রয়েছি আমরা। এর মূলে দূষিত জল। শিশুরা যাতে সুস্থ পরিবেশে বড় হয়, সে দিকে নজর দেওয়ার দায়িত্ব আমাদেরই। ওদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে দেশের সবাইকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন