(বাঁ দিকে) শাহবাজ় শরিফের সঙ্গে মুহাম্মদ ইউনূস (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
পুরনো ইতিহাস পিছনে ফেলে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মসৃণ করতে চাইছে পাকিস্তান। ১২ বছর পর শনিবারই বাংলাদেশে গিয়েছেন পাক বিদেশমন্ত্রী ইশাক দার। তাঁর এবং বাংলাদেশের বিদেশ উপদেষ্টার উপস্থিতিতে একাধিক চুক্তি এবং সমঝোতাপত্রে (মউ) স্বাক্ষর করেছে দু’পক্ষ। তারই একটিতে স্থির হয়েছে, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের মধ্যে ‘নলেজ করিডর’ গড়ে তোলা হবে। এই প্রকল্পের অংশ হিসাবে উচ্চশিক্ষার জন্য বাংলাদেশের পড়ুয়াদের আগামী পাঁচ বছরের জন্য ৫০০টি বৃত্তি বা স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান। এই বৃত্তির একাংশ দেওয়া হবে চিকিৎসাক্ষেত্রের জন্য।
শুধু তা-ই নয়, রবিবার পাকিস্তানের বিদেশ দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ১০০ জনকে প্রশিক্ষণ দেবে পাকিস্তান। তা ছাড়াও পাকিস্তান ‘টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স প্রোগ্রাম’-এ বাংলাদেশের পড়ুয়াদের জন্য বৃত্তির সংখ্যা পাঁচ থেকে বাড়িয়ে ২৫ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসলামাবাদ।
বস্তুত, বাংলাদেশে শেখ হাসিনার জমানায় ইসলামাবাদ এবং ঢাকার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কে উল্লেখযোগ্য কোনও উন্নতি হয়নি। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হয় সাবেক পূর্ব পাকিস্তান। তৈরি হয় স্বাধীন বাংলাদেশ। তার পর থেকে দীর্ঘ সময় ধরে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি বাণিজ্য প্রায় বন্ধই ছিল। গত বছর হাসিনার পতনের পরে দু’দেশের মধ্যে ফের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চালু করতে পদক্ষেপ করে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের মধ্যে ভিসা সংক্রান্ত বিধিও শিথিল করা হয়। গত জুলাইয়ে বাংলাদেশে গিয়েছিলেন পাক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভি। গত বুধবার ঢাকায় গিয়েছিলেন পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান। শনিবার দু’দিনের সফরে ঢাকায় যান পাক বিদেশমন্ত্রী দার।