পাকিস্তানে নিষিদ্ধ নয়া লস্কর সংগঠন

জানুয়ারি মাসে লস্কর প্রধান হাফিজ সইদ ও অন্য কয়েক জন লস্কর নেতাকে গৃহবন্দি করে পাকিস্তান। লস্কর তথা জামাত উদ দাওয়া এবং তার শাখা সংগঠন ফালাহ ই ইনসানিয়তের উপরেও কড়া নজরদারি শুরু হয়। মার্কিন চাপেই এই সিদ্ধান্ত বলে ধারণা কূটনীতিকদের।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০১৭ ০২:২০
Share:

লস্কর-ই-তইবার এক শাখা সংগঠনকে নিষিদ্ধ করল পাকিস্তান। প্রতীকী ছবি।

জঙ্গি দমনে পাকিস্তানের উপরে আন্তর্জাতিক চাপ যে বাড়ছে, ফের তার প্রমাণ মিলল। গত মাসের গোড়াতেই বেশি ঢাকঢোল না পিটিয়ে লস্কর-ই-তইবার এক শাখা সংগঠনকে নিষিদ্ধ করেছে পাকিস্তান।

Advertisement

জানুয়ারি মাসে লস্কর প্রধান হাফিজ সইদ ও অন্য কয়েক জন লস্কর নেতাকে গৃহবন্দি করে পাকিস্তান। লস্কর তথা জামাত উদ দাওয়া এবং তার শাখা সংগঠন ফালাহ ই ইনসানিয়তের উপরেও কড়া নজরদারি শুরু হয়। মার্কিন চাপেই এই সিদ্ধান্ত বলে ধারণা কূটনীতিকদের। তার কিছু দিন পরেই ৫ ফেব্রুয়ারি ঘটা করে ‘কাশ্মীর দিবস’ পালন করে লস্করের আর এক শাখা সংগঠন তেহরিক ই আজাদি জম্মু-কাশ্মীর। ভারতীয় গোয়েন্দাদের মতে, পাক সরকার যে জামাত ও ফালাহ ই ইনসানিয়তের উপরে নজরদারি শুরু করবে তা আগেই জানতে পেরেছিল হাফিজ। তাই নয়া নামে আত্মপ্রকাশ করে লস্কর। আগেও এ ভাবেই কৌশলে নাম বদলে জঙ্গি কার্যকলাপ চালিয়ে গিয়েছে হাফিজের সংগঠন। আন্তর্জাতিক চাপে লস্কর নিষিদ্ধ হওয়ার পরে জামাত উদ দাওয়ার নামে কাজকর্ম চালাত তারা।

কিন্তু এ বার লস্করের নতুন শাখা সংগঠনের কাজকর্ম নিয়েও পাকিস্তানের উপরে চাপ বাড়ে। ফেব্রুয়ারি মাসেই সন্ত্রাসে আর্থিক মদত রুখতে তৈরি আন্তর্জাতিক টাস্ক ফোর্সের (এফএটিএফ) বৈঠকে পাকিস্তান প্রসঙ্গে সরব হয় দিল্লি। পাকিস্তান এ নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিয়মকানুন মেনে চলছে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান ছিল টাস্ক ফোর্সের অন্য সদস্য দেশগুলিও। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিষিদ্ধ তালিকায় থাকা সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে ইসলামাবাদ কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা নিয়ে নিজেদের এশিয়া শাখার কাছে রিপোর্ট চায় এফএটিএফ।

Advertisement

আস্তানায় সাংহাই রাষ্ট্রগোষ্ঠীর বৈঠকেও সন্ত্রাসে আর্থিক মদত নিয়ে সুর চড়িয়েছিল ভারত। ঠিক তার আগে তেহরিক ই আজাদি জম্মু-কাশ্মীরকে নিষিদ্ধ সংগঠনের তালিকার অন্তর্ভুক্ত করে ইসলামাবাদ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement