ছবি: ইনস্টাগ্রামের সৌজন্যে।
কান্দিল বালোচ হত্যাকাণ্ডে পারিবারিক ক্ষমার সুযোগ পাবে না ঘাতক ভাই। সিদ্ধান্ত নিল পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের সরকার। পারিবারিক ‘সম্মান রক্ষার্থে’ প্রতি বছরে পাঁচশোরও বেশি খুনের ঘটনা ঘটে পাকিস্তানে। এঁদের মধ্যে অধিকাংশই মহিলা। কিন্তু নিহতের পরিবার ‘ক্ষমা’ করে দিলেই আইনের ফাঁক গলে বেরিয়ে যায় খুনিরা। পাকিস্তানের ইতিহাসে রীতিমতো বিরল পদক্ষেপে কান্দিল বালোচ হত্যায় সেই পারিবারিক ক্ষমার সম্ভাবনা আটকে দেওয়া হল।
গত শুক্রবার, ১৫ জুলাই রাতে পঞ্জাব প্রদেশের মুলতানে নিজের বাড়িতেই খুন হন পাক মডেল, ২৬ বছরের কান্দিল বালোচ। পাকিস্তানের কিম কার্দাশিয়ান বলে খ্যাত কান্দিল অল্প সময়েই মডেলিং জগতে বেশ নাম করেছিলেন। তবে নানান বিতর্কে জড়িয়ে শিরোনামে এসেছেন তার থেকে বেশি। কখনও প্রিয় ক্রিকেটারের জন্য নগ্ন হয়ে নাচার প্রতিশ্রুতি করে, কখনও দেশের প্রথম সারির ধর্মগুরুর সঙ্গে তোলা বিতর্কিত সেলফি সোশ্যাল সাইটে পোস্ট করে। কান্দিল খুনের ঘটনায় তাঁর ভাই মহম্মদ ওয়াসিম আজিমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশি জেরায় ওয়াসিম স্বীকার করে, মাদক খাইয়ে বেহুঁশ কান্দিলকে শ্বাসরোধ করে খুন করে সে। এবং তা নিয়ে সে বিন্দুমাত্র অনুতপ্তও নয়। ওয়াসিমের দাবি, সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া কান্দিলের নানা সময়ের খোলামেলা ফোটো বা ধর্মগুরু মুফতি আব্দুল কাভের সঙ্গে তোলা ছবির জন্য ধুলোয় লুটিয়েছে পারিবারিক সম্মান। আর সেই ‘অপরাধেই’ কান্দিলকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয় সে। ওয়াসিম ছাড়া আর এক ছেলের বিরুদ্ধেও পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন কান্দিলের বাবা মহম্মদ আজিম।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ‘অনার কিলিং’ নিয়ে তথ্যচিত্রের জন্য অস্কার পেয়েছিলেন পাকিস্তানের শারমিন ওবেইদ চিনয়। পুরস্কার নিয়ে অস্কারমঞ্চেই পাক সরকারের কাছে ‘অনার কিলিং’য়ের বিরুদ্ধে কড়া আইনের দাবি জানান তিনি। পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফও ‘অনার কিলিং’য়ের বিরুদ্ধে কঠোর আইন আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন