US Pakistan Trade

চুক্তি নিয়ে ভিন্ন সুর পাকিস্তানে! শুল্কে চুপ ট্রাম্প, নজরে পাক তৈলভান্ডার, ইসলামাবাদ বলছে, শুল্ক কমবে

ইসলামাবাদের দাবি, আমেরিকার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যচুক্তি সেরে ফেলেছে তারা। এর ফলে আমেরিকার বাজারে পাকিস্তানি পণ্যে শুল্ক কমবে। তবে ট্রাম্প চুক্তির বিষয়ে তৈলভান্ডার নিয়ে সমঝোতা ছাড়া আর কিছুই উল্লেখ করেননি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২৫ ১৫:১৪
Share:

(বাঁ দিকে) আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

আমেরিকা বলছে, পাকিস্তানের সঙ্গে চুক্তি হয়ে গিয়েছে। পাকিস্তানও বলছে, আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কী নিয়ে চুক্তি, সে বিষয়ে দুই মেরুতে দু’পক্ষ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে কিছুটা ভিন্ন সুরে কথা বলছে ইসলামাবাদ।

Advertisement

ট্রাম্পের দাবি, পাকিস্তানে যে বিশালাকার তৈলভান্ডার রয়েছে, তার উন্নতির জন্য ওয়াশিংটন এবং ইসলামাবাদ যৌথ ভাবে কাজ করবে। সে বিষয়ে চুক্তি হয়েছে দু’দেশের। তবে পাকিস্তানের উপর শুল্ক নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি। আবার পাকিস্তানের দাবি, ওয়াশিংটনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যচুক্তি সেরে নিয়েছে তারা। এর ফলে আমেরিকার বাজারে তাদের পণ্যের উপর শুল্ক কমবে বলেও দাবি ইসলামাবাদের। যদিও ট্রাম্প এমন কোনও মন্তব্য এখনও করেননি। শুল্ক কমছে বলে দাবি করলেও, তা কত শতাংশ হচ্ছে সে বিষয়ে কোনও উল্লেখ করেনি ইসলামাবাদও।

বুধবার সমাজমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ ট্রাম্প লেখেন, “আমরা এইমাত্র পাকিস্তানের সঙ্গে একটা চুক্তি সেরে ফেললাম। চুক্তি অনুযায়ী সে দেশের বিশালাকার তৈলভান্ডারের উন্নতিতে পাকিস্তান এবং আমেরিকা যৌথ ভাবে কাজ করবে।” আমেরিকার প্রেসিডেন্টের দাবি, দুই দেশের এই বোঝাপড়ায় কোন তেল উত্তোলনকারী সংস্থা নেতৃত্ব দেবে, তা তাঁর প্রশাসনই ঠিক করবে। ওই পোস্টে ভারতের প্রসঙ্গও টানেন তিনি। ট্রাম্প লেখেন, “কে বলতে পারে, হয়তো পাকিস্তান একদিন ভারতকে তেল বিক্রি করবে।”

Advertisement

আমেরিকায় স্থিত পাকিস্তানের দূতাবাস থেকেও এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করা হয় চুক্তির বিষয়ে। তাদের দাবি, “পাকিস্তান এবং আমেরিকা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি, বিনিয়োগ এবং পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে একটি বাণিজ্যচুক্তি চূড়ান্ত করেছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ একটি পোস্টের মাধ্যমে বাণিজ্যচুক্তি ঘোষণা করেছেন। এই চুক্তির ফলে আমেরিকায় পাকিস্তানি পণ্যের উপর পারস্পরিক শুল্ক কমবে।” এই চুক্তির ফলে জ্বালানি, খনি এবং খনিজ, তথ্যপ্রযুক্তি, ক্রিপ্টোকারেন্সি এবং অন্য ক্ষেত্রগুলিতে আর্থিক সহযোগিতার নতুন পথের সূচনা হবে বলেও দাবি পাকিস্তানের। তবে ট্রাম্প তাঁর পোস্টে তৈলভান্ডার ছাড়া আরও কিছুই উল্লেখ করেননি। শুল্ক কমবে কি না, তা নিয়েও বিন্দুবিসর্গ উল্লেখ নেই ট্রাম্পের পোস্টে।

বস্তুত, ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতি পরবর্তী সময়ে ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করার প্রস্তাব দেয় ইসলামাবাদ। ট্রাম্প বার বার ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতিতে মধ্যস্থতার দাবি করে এসেছেন। তাঁর দাবি, ব্যবসার কথা বলেই তিনি সংঘর্ষ থামিয়েছেন। ভারত ইতিমধ্যে বিভিন্ন সময়ে বুঝিয়ে দিয়েছে, সংঘর্ষবিরতিতে কোনও তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ ছিল না। তবে ট্রাম্পের দাবিকে শুরু থেকেই স্বীকৃতি দিয়েছে পাকিস্তানে শাহবাজ় শরিফের সরকার। কিন্তু এ বার ট্রাম্পের দাবির থেকে কিছুটা ভিন্ন সুরে কথা বলতে শোনা গেল পাকিস্তানকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement