Pakistan

হিন্দু মেয়েকে অপহরণের পর ধর্মান্তরণের অভিযোগ, অভিযুক্তেরই পক্ষ নিল পাক আদালত!

এই অক্টোবর মাসেই এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে পাকিস্তানে। জ়মসি নামে ১৪ বছরের এক নাবালিকারকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ। পরে সেই অপহরণকারীদের এক জন নাবালিকাকে বিয়ে করে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

করাচি শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০২২ ১০:৩৬
Share:

আদালতের সিদ্ধান্তে বিস্মিত নাবালিকার পরিবার। —প্রতীকী চিত্র।

আবার পাকিস্তানে হিন্দু নাবালিকাকে ধর্মান্তরণের অভিযোগ! তবে অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হলেও প্রকারন্তরে তারই পক্ষ নিল করাচি আদালত। নাবালিকার পরিবারের প্রতিক্রিয়া, তাঁরা সুবিচারের জন্য অপেক্ষা করবেন।

Advertisement

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গত ১৩ অক্টোবর সিন্ধের হায়দরাবাদ শহরের বাসিন্দা বছর পনেরোর ছন্দা মহারাজ অপহৃত হয়। থানায় অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। অভিযোগ করা হয় শমন মগসি বালোচ নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। তদন্তে নেমে কয়েক দিন পর একটি ভাড়াবাড়ি থেকে নাবালিকাকে উদ্ধার করে পুলিশ। তোলা হয় আদালতে।

করাচির একটি আদালতে তার সঙ্গে কী কী হয়েছে, তার বিস্তারিত বিবরণ দেয় ওই বালিকা। সে জানায়, তাকে অপহরণের পর একটি ঘরে বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। সেখানে শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার করা হত। পরে তাকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য করা হয়। আদালত সব শোনার পর নির্যাতিতাকে করাচির একটি হোমে পাঠিয়েছে। তবে নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপই করেনি আদালত।

Advertisement

একটি সংবাদমাধ্যমকে অশ্রুসজল চোখে ছন্দার মা বলেন, ‘‘এই সিস্টেমকে বিশ্বাস করতে পারছি না। তবু আশা করছি এই সরকার এবং আদালত আমাদের ন্যায়বিচার দেবে।’’

উল্লেখ্য, এই অক্টোবর মাসেই এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে পাকিস্তানে। জ়মসি নামে ১৪ বছরের এক নাবালিকারকে অপহরণের আগে তার বাবাকে মারধর করে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। চোট পান তিনি। পরে সেই অপহরণকারীদের এক জনের সঙ্গে নাবালিকার বিয়ে হয়। তার আগে ওই হিন্দু পরিবারের মেয়েটিকে ধর্মান্তরিত করা হয়। সংবাদমাধ্যমের সামনে নাবালিকার বাবা দাবি করেন, থানায় অভিযোগ জানাতে পারেননি তিনি। তাঁকে ফিরিয়ে দেন পুলিশ আধিকারিকরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন