Pakistan

সন্ত্রাসের প্রশ্নে সিরিয়ার থেকেও তিন গুণ বেশি বিপজ্জনক পাকিস্তান, বলছে রিপোর্ট

বলা হয়েছে, ‘‘সমাজের সর্ব ক্ষেত্রে চরমপন্থীদের উত্থান, গণবিধ্বংসী অস্ত্রের যথেচ্ছ ব্যবহার, বেহাল আর্থিক পরিস্থিতি মানবজাতির অস্তিত্বকে বিপন্ন করে তুলতে পারে ২০৩০ সালের মধ্যেই। আর এই সব কটি কারণই জন্ম দিতে পারে আরও সন্ত্রাসের।’’

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০১৮ ১০:৫৮
Share:

গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।

আজকের পৃথিবীর কাছে সিরিয়ার থেকেও তিন গুণ বেশি ভয়ঙ্কর পাকিস্তান। দেশ জুড়ে অসংখ্য সন্ত্রাসবাদী শিবির এবং তার পেছনে সরকারি মদতের কারণেই পাকিস্তান আজ বিপজ্জনক সারা পৃথিবীর কাছে। ‘অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক ফোরসাইট গ্রুপ’ প্রকাশিত একটি রিপোর্ট ‘হিউম্যানিটি অ্যাট রিস্ক, গ্লোবাল টেরর থ্রেট ইন্ডিকেন্ট’-এ সামনে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য।

Advertisement

সারা বিশ্বে মানবতার ওপর সন্ত্রাসের হামলার পেছনে কোন কোন ‘ফ্যাক্টর’ কাজ করে, তাই বোঝার চেষ্টা করা হয়েছে রিপোর্টটিতে। আফগান তালিবান এবং লস্কর-ই-তইবা, এই দু’টি গোষ্ঠী সারা পৃথিবীর কাছে সব থেকে বিপজ্জনক। আর সব থেকে বেশি সন্ত্রাসের ঘাঁটি আছে পাকিস্তানেই। সেই কারণে সন্ত্রাসের মদতদাতা দেশগুলির তালিকায় সব থেকে ওপরে আছে পাকিস্তান। এমনটাই বলা হয়েছে এই সদ্য প্রকাশিত রিপোর্টে।

পরবর্তী এক দশকে পৃথিবীর সামনে কতটা চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে সন্ত্রাসবাদীরা, এবং তার মোকাবিলা কীভাবে করা সম্ভব, সেই পরামর্শও দেওয়া হয়েছে ৮০ পাতার এই রিপোর্টে। বলা হয়েছে, ‘‘সমাজের সর্ব ক্ষেত্রে চরমপন্থীদের উত্থান, গণবিধ্বংসী অস্ত্রের যথেচ্ছ ব্যবহার, বেহাল আর্থিক পরিস্থিতি মানবজাতির অস্তিত্বকে বিপন্ন করে তুলতে পারে ২০৩০ সালের মধ্যেই। আর এই সব কটি কারণই জন্ম দিতে পারে আরও সন্ত্রাসের।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: সিরিয়াতেই কি মৃত্যু বাঙালি জঙ্গি সিদ্ধার্থ ধরের?

সন্ত্রাসের উত্থান বুঝতে মোট ২০০টি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীকে চিহ্নিত করে তাদের গতিবিধি বুঝতে চেষ্টা করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, এদের মধ্যে ২৫ শতাংশ সংগঠন কোনও আদর্শ দিয়ে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজেদের ধ্বংসাত্মক কাজে শেষ করে। এই রকম সংগঠনই হল আলকায়দা এবং আইসিস। আইসিসি-এর পতন ঘটলেও সারা বিশ্ব জুড়ে ‘নেটওয়ার্ক’ থাকার জন্য এখনও ভয়ঙ্কর আলকায়দা। ২০১১ পর্যন্ত ওসামা বিন লাদেনের হাতে এই সংগঠনের রাশ থাকলেও এখন তার জায়গায় এসেছে ওসামার ছেলে হামজা বিন ওসামা বিন লাদেন। এই রিপোর্টে যাকে বলা হচ্ছে,‘সন্ত্রাসের নয়া রাজপুত্র’।

আরও পড়ুন: যৌন হেনস্থার অভিযোগ, ৪৮ জনকে বরখাস্ত করল গুগল

সন্ত্রাসের সঙ্গে বিভিন্ন দেশ, গোয়েন্দা সংস্থা এবং অপরাধ জগতের যোগাযোগের কারণেই আগামী এক দশক মানবতার জন্য আরও ‘বিপজ্জনক’ হয়ে উঠবে। রিপোর্টটিতে বলা হয়েছে, ‘‘আল কায়দার জন্মই হয়েছে পাকিস্তান ও পাক প্রভাবিত আফগানিস্তানে। অ্যাবটাবাদে যে বাড়িতে ওসামা থাকতেন সেই বাড়ি আশপাশের অবসরপ্রাপ্ত পাক সামরিক অফিসারদের বাড়ির থেকে অনেকটা উঁচু ও বড় ছিল। এই বাড়ির জন্য এলাকার দোকান থেকে যা জিনিষ কেনা হত, তা কেনার মতো সঙ্গতি ওই এলাকার কারও ছিল না। এখানে যে গুরুত্বপূর্ণ কেউ আছে তা বুঝতে কোনও অসুবিধে হওয়ার কথা নয়। অথচ সব জানা সত্ত্বেও পাক গোয়েন্দা সংস্থা এবং পাক সরকার কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এই ধরণের কাজ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শক্তি কমিয়ে দিচ্ছে।’’

লিবিয়া, সিরিয়া, ইয়েমেন, আফগানিস্তান সহ বিভিন্ন দেশে কীভাবে বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী একযোগে ‘নেটওয়ার্ক’-এর মাধ্যমে শক্তি বাড়িয়ে চলেছে, তাও বিশদে বলা হয়েছে রিপোর্টটিতে।

(আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, আন্তর্জাতিক চুক্তি, আন্তর্জাতিক বিরোধ, আন্তর্জাতিক সংঘর্ষ- সব গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের আন্তর্জাতিক বিভাগে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন