মঙ্গলবার ভোররাতে ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমানের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ।—ছবি এএফপি।
পুলওয়ামা হামলার প্রত্যাঘাতে ভারতীয় বায়ুসেনা পাকিস্তানে ঢুকে বোমা ফেলার পরে ভারতকে একঘরে করতে উঠে-পড়ে লেগেছিল পাকিস্তান। কিন্তু ফল হয় উল্টো। এরকমটাই মনে করছে ভারতীয় কূটনিতিক শিবির। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের মতে, আন্তর্জাতিক শিবিরের চাপের মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত পিছু হটতে হয় ইসলামাবাদকেই।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ভোররাতে ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান পাকিস্তানে ঢুকে বোমা ফেলার পরে তড়িঘড়ি বিভিন্ন দেশের শীর্ষ কূটনীতিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পাকিস্তান। ফোন করা হয় পি-ফাইভ, অর্থাৎ পাঁচ শক্তিশালী দেশকে (আমেরিকা, ব্রিটেন, চিন, ফ্রান্স ও রাশিয়া)। সূত্রের খবর, পাকিস্তান এই সব দেশকে জানায়, ভারত পাকিস্তানকে ত্রিফলা আক্রমণের ছক কষছে। ১) করাচির দিকে এগিয়ে আসছে ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ। ২) ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার তোড়জোড় করছে ভারতীয় সেনা। এবং ৩) ভারত-পাক সীমান্তে প্রচুর পরিমানে সেনা মজুত করছে ভারত। পাকিস্তানের দাবি, এ থেকেই স্পষ্ট, ভারত যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
পাকিস্তানের কাছ থেকে এই বার্তা পেয়ে মঙ্গলবারেই নয়াদিল্লির সঙ্গে যোগাযোগ করে পি-ফাইভ-সহ বিভিন্ন দেশ। কিন্তু ভারত তাদের স্পষ্ট জানায়, পাকিস্তানের দাবি পুরোপুরি অসত্য। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, নয়াদিল্লি বিভিন্ন দেশের মধ্যস্থতাকারীদের বলে, ‘সীমান্তে ঠিক কী ঘটছে, তা বুঝতে আপনাদের হাতে যথেষ্ট প্রযুক্তি রয়েছে। নজরদারি উপগ্রহ রয়েছে। আপনারা দেখতে পাবেন যে, ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ করাচির দিকে নয়, করাচি থেকে দূরে চলে যাচ্ছে।’ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিকে ভারত জানিয়ে দেয়, প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে আক্রমণ করতে নয়, জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করতেই বোমা ফেলেছিল ভারতীয় যুদ্ধবিমান। পরের দিন মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেয়ো জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালকে ফোন করে জানান, সীমান্তপারের সন্ত্রাস রুখতে ভারতের পাশে রয়েছে আমেরিকা।