ভারতে সন্ত্রাসের প্রশ্নে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিল আমেরিকা। প্রেসিডেন্ট ওবামার এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীর বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই এই পদক্ষেপ ওয়াশিংটনের। মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র সাংবাদিক বৈঠক করে জানালেন, ভারতে নাশকতা চালানোর কাজে পাকিস্তানের মাটি যাতে কোনও ভাবেই ব্যবহৃত না হয় তা পাকিস্তানকেই নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সদ্যসমাপ্ত মার্কিন সফরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছেন, তার প্রায় সবগুলিকেই যে আমেরিকা মান্যতা দিচ্ছে, মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের উপ-মুখপাত্র মার্ক টোনারের কথায় তা স্পষ্ট। সন্ত্রাস প্রসঙ্গে আলোচনার সময় মোদী ওবামাকে এ বারও বলেন, পাকিস্তানের মাটিই হল ভারত বিরোধী সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর। মোদীর সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই পাকিস্তানকে আমেরিকা বার্তা পাঠিয়েছে বলে মার্ক টোনার জানিয়েছেন। ভারতে সন্ত্রাস থামাতে আমেরিকা সব রকম ভাবে সচেষ্ট হবে বলে টোনার জানান। তার পর বলেন, ‘‘পাকিস্তানকে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতিতে উৎসাহ দেওয়া সেই লক্ষ্যেই একটি পদক্ষেপ।’’
টোনার তাঁর বিবৃতিতে বলেন, ‘‘ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা থাকলে দু’দেশই তা থেকে লাভবান হবে বলে আমারা বিশ্বাস করি। সেই কারণেই উত্তেজনা কমিয়ে সমন্বয় বাড়াতে দু’দেশের মধ্যে সরাসরি আলোচনায় আমরা উৎসাহ দিই।’’ এর পর টোনার যা বলেছেন, তা কূটনৈতিক ভাবে আরও তাৎপর্যপূর্ণ। পাকিস্তানকে চাপে ফেলে টোনারের মন্তব্য, ‘‘ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে আলোচনা হতে হলে আগে পাকিস্তানকে নিশ্চিত করতে হবে যে সে দেশের ভূখণ্ড ভারতে হামলার ছক কষার জন্য কোনও ভাবেই ব্যবহৃত হবে না এবং পাকিস্তানের মধ্যে সক্রিয় সব ধরনের জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে ব্যবস্থা নিতে হবে।’’
আরও পড়ুন:
এনএসজি: ভারতকে রুখতে পাকিস্তানকে ‘বোড়ে’ বানাল চিন!
মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের এই বিবৃতিতে স্পষ্ট, সন্ত্রাসের প্রশ্নে পুরোপুরি নয়াদিল্লির পাশেই দাঁড়াচ্ছে ওয়াশিংটন। শুধু তাই নয়, সরাসরিই এখন তারা পাকিস্তানকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছে। কোনও রাখঢাক না করে আমেরিকা বলে দিচ্ছে, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে যে টানাপড়েন, তার জন্য পাকিস্তানই দায়ী। এই টানাপড়েন থামাতে চাইলে পাকিস্তানকেই পদক্ষেপ করতে হবে। আমেরিকার এই কঠোর অবস্থান নিঃসন্দেহে আরও চাপে ফেলতে চলেছে নওয়াজ শরিফের সরকারকে।