—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
নির্ধারিত সূচি মেনেই মঙ্গলবার নিলামে উঠেছিল পাকিস্তানের সরকারি বিমানসংস্থা। সবচেয়ে বেশি দাম হেঁকে ৪৩২০ কোটি টাকায় (ভারতীয় মুদ্রায়) পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স (পিআইএ) কিনে নিল অর্থ বিনিয়োগকারী সংস্থা আরিফ হাবিব।
আরিফ হাবিব ছাড়াও মঙ্গলবারের নিলামে যোগ দিয়েছিল আরও দুই সংস্থা— ‘লাকি সিমেন্ট’ এবং বেসরকারি বিমানসংস্থা ‘এয়ারব্লু’। নিলামের প্রাথমিক পর্বে গোপন ব্যালটে প্রস্তাবিত দাম জানিয়েছিল তিন সংস্থাই। সর্বোচ্চ দাম দেওয়ার নিরিখে নিলামের চূড়ান্ত পর্বে লড়াই হয় লাকি সিমেন্ট এবং আরিফ হাবিব সংস্থার। পিআইএ কিনতে ৪৩২০ কোটি টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেয় আরিফ হাবিব। তার পরেই নিলাম প্রক্রিয়া থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেয় লাকি সিমেন্ট।
নিলামের পর আরিফ হাবিবকে ধন্যবাদ জানান পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী তথা বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ ইশাক দার। তিনি জানান, পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করতে চান। সেই লক্ষ্যেই আরিফ হাবিব পিআইএ-র পুরনো গৌরব পুনরায় ফিরিয়ে আনবে বলে আশাপ্রকাশ করেন তিনি।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, আপাতত পাকিস্তানের একদা সরকারি বিমানসংস্থা পিআইএ-র ৭৫ শতাংশ অংশীদারি যাচ্ছে আরিফ হাবিবের কাছে। আগামী ৯০ দিনের মধ্যে বাকি ২৫ শতাংশও কিনে নিতে হবে তাদের। ৭৫ শতাংশ অংশীদারি বিক্রির বিনিময়ে যে টাকা উঠেছে, তার ৯২.৫ শতাংশ পিআইএ-র মানোন্নয়নে বিনিয়োগ করা হবে। আর বাকি ৭.৫ শতাংশ যাবে সরকারের ঘরে।
আর্থিক সঙ্কটে ভুগতে থাকা পাকিস্তান আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডারের (আইএমএফ) ঋণের উপর নির্ভরশীল। পাক সংবাদসংস্থাগুলির প্রতিবেদন অনুসারে, আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডারের নতুন অর্থনৈতিক প্যাকেজ পাওয়া সুনিশ্চিত করতে লোকসানে চলা পিআইএ বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয় শাহবাজ়ের সরকার। প্রথমে এই বিমানসংস্থা কেনার বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছিল পাক সেনার নিয়ন্ত্রণাধীন ফৌজি ফাউন্ডেশন। নিলামের পরবর্তী পর্বে অবশ্য আর যোগ দেয়নি তারা।
প্রসঙ্গত, লোকসানে চলার জন্য একদা ভারতের সরকারি বিমানসংস্থা এয়ার ইন্ডিয়াকেও নিলামে তোলা হয়েছিল। সর্বোচ্চ দর দিয়ে তা কিনে নেয় টাটা গোষ্ঠী।