ফি বৃদ্ধি: বেসরকারি স্কুলকে ধমক পাক সুপ্রিম কোর্টের

দেশের বেসরকারি স্কুলগুলির অত্যধিক মাত্রায় ফি বৃদ্ধি নিয়ে ক্ষুব্ধ পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০১:৩৭
Share:

দেশের বেসরকারি স্কুলগুলির অত্যধিক মাত্রায় ফি বৃদ্ধি নিয়ে ক্ষুব্ধ পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। এতটাই যে, এই সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের এক বেঞ্চ দেশের সব ক’টি বেসরকারি স্কুলকে সরকারি করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে। বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে আদালত বলেছে, ‘‘চাইলে এখনই আপনাদের স্কুল বন্ধ করে দিতে পারি। আর স্কুলের প্রশাসনিক সমস্ত দায়িত্ব সরকারের হাতে তুলে দিতে পারি।’’ একই সঙ্গে পাক সর্বোচ্চ আদালতের মন্তব্য, কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কখনওই টাকা কামানোর কারখানা হতে পারে না।

Advertisement

বেসরকারি স্কুলগুলোয় অত্যধিক ফি-বৃদ্ধি নিয়ে ক্ষোভ চলছে গোটা পাকিস্তানে। ডিসেম্বরে এই ফি-বৃদ্ধিতে রাশ টেনেছিল পাক সর্বোচ্চ আদালত। তারা নির্দেশ দিয়েছিল, বর্ধিত ফি-এর অন্তত কুড়ি শতাংশ কমাতে হবে স্কুল কর্তৃপক্ষকে। যে সব বেসরকারি স্কুলের মাইনে পাঁচ হাজার টাকার বেশি, তাদের জন্যই এই নির্দেশ প্রযোজ্য ছিল। সেই সঙ্গেই আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, কোনও বেসরকারি স্কুলই ছাত্র-ছাত্রীদের মাইনে বছরে ৮ শতাংশের বেশি বাড়াতে পারবে না। তা-ও করতে হবে কোনও নির্দেশকের অধীনে। গ্রীষ্মকালীন ছুটির সময়ে যে স্কুল ফি দেওয়া হয়, তার অর্ধেক ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের ফিরিয়ে দেওয়ারও নির্দেশ দেয় কোর্ট।

সু্প্রিম কোর্টের সেই নির্দেশের প্রেক্ষিতে বিচারপতিদের চিঠি লেখে ইসলামাবাদের দু’টি বেসরকারি স্কুল। সেই নিয়েই আজ শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। ওই চিঠির ভাষা আদালতের পক্ষে ‘অবজ্ঞাসূচক’ বলে আজ ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিচারপতি গুলজ়ার আহমেদ, বিচারপতি ফয়সল আবাব এবং বিচারপতি ইজাজ়ুল এহসানের বেঞ্চ। বিচারপতিরা বলেছেন, ‘‘আপনাদের এত সাহস হয় কী করে? আদালতের নির্দেশকে কঠোর বলে বিচারপতিদের চিঠি পাঠান!’’ এর পরে তাঁরা বলেন, ‘‘আপনাদের চোখে তো লজ্জার চিহ্নমাত্রও নেই! এখনই আপনাদের স্কুল বন্ধ করে সরকারের হাতে তুলে দেওয়া উচিত।’’ আদালতের ভর্ৎসনার প্রেক্ষিতে মুখ খুলেছেন ওই দুই বেসরকারি স্কুলের আইনজীবী। তাঁরা জানান, আদালত অবমাননার কোনও উদ্দেশ্য তাঁদের ছিল না। তাঁরা বলেছেন, ‘‘যা লেখা হয়েছে, তার জন্য আমরা ক্ষমা চাইছি। ভবিষ্যতে এমনটা আর হবে না।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement