গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
ভারতের সঙ্গে সংঘাতের আবহে পাক সেনাকে বাড়তি ক্ষমতা দিল সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট। জেনারেল আসিম মুনির সামরিক আইন মেনে ২০২৩ সালে বিভিন্ন সেনাশিবিরে হামলায় অভিযুক্তদের বিচারের যে পদক্ষেপ করেছিলেন, সে দেশের শীর্ষ আদালত তাতে সায় দিয়েছে।
২০২৩ সালের মে মাসে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের গ্রেফতারির পরে তাঁর দল ‘পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ’ (পিটিআই)-এর সমর্থকেরা ধারাবাহিক ভাবে হামলা চালিয়েছিলেন পাকিস্তান সেনার উপর। রাওয়ালপিন্ডির সেনা সদর দফতর, পাক সেনার লাহৌরের কোর কমান্ডারের বাড়ি, করাচি, পেশোয়ারের সেনাশিবির আক্রান্ত হয়েছিল। তছনছ করা হয়েছিল কয়েক জন সেনাকর্তার বাসভবন। এমনকি, গুলিও চালানো হয়েছিল সেনার উপর।
ওই ঘটনায় অশান্তি বাধানোর অভিযোগে হাজারেরও বেশি ইমরান-সমর্থককে গ্রেফতার করেছিল পাক সেনা, রেঞ্জার্স এবং পুলিশবাহিনী। তাঁদের মধ্যে প্রায় ১০০ জনের বিচার সামরিক আদালতে করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। তাঁদের সেনা হেফাজতেও পাঠানো হয়। কিন্তু ওই পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল পাক সুপ্রিম কোর্টে। আবেদনকারীপক্ষের যুক্তি ছিল, অভিযুক্তেরা অসামরিক ব্যক্তি। তাই সেনা আদালতে তাঁদের বিচার অসাংবিধানিক। ২০২৩ সালের অক্টোবরে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ সেই আবেদনে সায় দিয়ে জানায়, সাধারণ ফৌজদারি আদালতে অভিযুক্তদের বিচার করতে হবে।
কিন্তু সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সাত বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন জেনারেল মুনির। ৫-২ ভোটাভুটিতে সাত বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়েছে, যেহেতু অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পাক সামরিক ব্যবস্থাপনার উপর আঘাতের অভিযোগ রয়েছে, তাই সেনা আদালতে তাঁদের বিচার চালানো যেতে পারে। সেই সঙ্গে বিচারপতি আমিনউদ্দিন খানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের নির্দেশ, ৪৫ দিনের মধ্যে বিচারপর্ব শেষ করতে হবে সেনা আদালতকে। ধৃত পিটিআই নেতা-কর্মীরা সংশ্লিষ্ট হাই কোর্টে সেনা আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবেন বলেও নির্দেশ দিয়েছে সাত বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ।