ঘুরিয়ে বার্তা ট্রাম্পকে

অন্যের হয়ে যুদ্ধ আর নয়: ইমরান

যে যার স্বার্থ বুঝে নিক। ভবিষ্যতে তাঁর দেশ অন্য কারও হয়ে কোনও যুদ্ধে নিজেকে জড়াবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:১৮
Share:

আমেরিকাকে বার্তা ইমরানের। ফাইল চিত্র।

যে যার স্বার্থ বুঝে নিক। ভবিষ্যতে তাঁর দেশ অন্য কারও হয়ে কোনও যুদ্ধে নিজেকে জড়াবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বৃহস্পতিবার রাওয়ালপিন্ডিতে জাতীয় প্রতিরক্ষা এবং সেনা-শহিদ দিবস অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেছেন ইমরান।

Advertisement

আফগানিস্তানে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তান তাদের সঙ্গ দিচ্ছে না বলে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগের আঙুল তুলছে আমেরিকা। সে অভিযোগ বারেবারে অস্বীকার করেছে পাকিস্তান। কিন্তু তাতে নরম হয়নি মার্কিন প্রশাসন। বরং সম্প্রতি পাকিস্তানকে ৩০ কোটি ডলার সাহায্য বাতিল করার কথা জানিয়েছে তারা। বিষয়টি নিয়ে পাক-মার্কিন চাপান-উতোর বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে ইমরানের বার্তা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিশানা করেই বলে মনে করছেন কূটনীতিকদের একটা বড় অংশ। ইমরানের কথায়, ‘‘আমি প্রথম থেকেই যুদ্ধবিরোধী। বিদেশি রাষ্ট্রের হয়ে কোনও ভাবেই যুদ্ধে যেতে চাইব না।’’ পাকিস্তানের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে প্রয়োজনে নয়া বিদেশ নীতি গ্রহণেরও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। ঘটনাচক্রে এ দিনই পাকিস্তানে এসেছেন তিন বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই।

ইমরানের দাবি, সন্ত্রাস দমনে পাক সেনাবাহিনীর মতো আত্মত্যাগ আর কেউ করেনি। তাঁর কথায়, ‘‘সেনার এই আত্মত্যাগ বিফলে যাওয়ার নয়। পাকিস্তানকে আজ সত্যিই সব দিক থেকে বিপন্মুক্ত করে রেখেছে আমাদের বাহিনী। দেশে এটাই একমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠান, যেখানে রাজনীতির হস্তক্ষেপ নেই।’’ অথচ পাক কূটনীতিক এবং আন্তর্জাতিক মহলের সিংহ ভাগেরই অভিযোগ, ইমরানের মসনদ দখলের পিছনে বড় ভূমিকা নিয়েছিল এই সেনাবাহিনী।

Advertisement

শহিদ দিবসে ইমরানের এই ‘সেনা-ভক্তি’ তাই স্বাভাবিক বলেই মনে করছেন অনেকে। আমেরিকার বিরুদ্ধে সুর চড়ানোটাও। তবে কাজের কাজ কিছু হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ থাকছেই। এমনিতেই এখন পাকিস্তানের মাথায় বিস্তর ঋণের বোঝা। তার উপর দফায় দফায় আমেরিকা সাহায্য বন্ধ করলে সেই ধাক্কা সামলানো কঠিন হবে বলেই মনে করছেন পাক কূটনীতিকদের একাংশ।

এ দিন ইমরানের সঙ্গে মঞ্চে ছিলেন পাক সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়া। তিনি বলেন, ‘‘১৯৬৫ এবং ১৯৭১-এর যুদ্ধ থেকে ঢের শিক্ষা নিয়েছে পাকিস্তান। বিপদ বুঝেই তাই পরমাণু অস্ত্র বানিয়ে নিজেদের পোক্ত করতে হয়েছে। এ বার দেশ থেকে দারিদ্র মুছে ফেলার লড়াই শুরু হোক। দুর্নীতিমুক্ত হোক দেশ।’’ ইমরানের কাছে এখন এটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement