সাংবাদিক বৈঠকে পাকিস্তানের ইন্টার সার্ভিস পাবলিক রিলেশনস্-এর ডিরেক্টর জেনারেল। বুধবার ভোরে। ছবি: ভিডিয়ো থেকে।
মধ্যরাতে পাকিস্তানে প্রত্যাঘাত হেনেছে ভারত। তাতে আট জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করল ইসলামাবাদ। পাকিস্তানের ইন্টার সার্ভিস পাবলিক রিলেশনস্-এর ডিরেক্টর জেনারেল সাংবাদিক বৈঠক করে এই সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করেছেন। তাতে বলা হয়েছে, রাত ১টা নাগাদ পাকিস্তানের মোট ছ’টি জায়গায় ২৪টি হামলা চালিয়েছে ভারতীয় বাহিনী। সাধারণ নাগরিকদের উপর হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। একাধিক মহিলা, শিশুর মৃত্যুর কথাও জানিয়েছে পাকিস্তান।
পাক আইএসপিআর ডিজি বুধবার ভোরের সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “বহাওয়ালপুরের আহমেদপুর পূর্বে শুভান মসজিদে হামলা চালানো হয়েছে। এখানে চারটি স্ট্রাইকে পাঁচ জন নিরীহ মানুষের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে তিন বছরের শিশুও আছে। এ ছাড়া এখানে ৩১ জন জখম হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ২৫ জন পুরুষ এবং ছ’জন মহিলা।”
তিনি আরও বলেন, “মুজাফফরাবাদে বিলাল মসজিদকে নিশানা করা হয়েছে। সাতটি হামলায় এখানে এক জন আহত এবং মসজিদটি ধ্বংস হয়েছে।”
পাক বিবৃতি অনুসারে, কোটলি এলাকায় আব্বাত মসজিদে পাঁচটি হামলা হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। তাদের মধ্যে এক জন ১৮ বছরের যুবক এবং অন্য জন ১৬ বছরের কিশোরী। এক মহিলা এবং তাঁর কন্যা জখম হয়েছেন।
মুরিদকেতে উমালকুরা মসজিদে চারটি হামলা হয়েছে। এক জনের মৃত্যু হয়েছে , এক জন জখম হয়েছেন। এখানে দু’জন নিখোঁজ। মসজিদও এখানে ধ্বংস হয়েছে।
শিয়ালকোটের কোটকি লোহারা গ্রামে দু’টি হামলা হয়েছে। এখানে হতাহতের কোনও খবর নেই। এ ছাড়া, শাকারগড়ের কাছেও দু’টি হামলা হয়েছে। হতাহতের খবর নেই। ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’কে ‘বিনাপ্ররোচনায় কাপুরুষোচিত হামলা’ বলে উল্লেখ করেছেন পাক আইএসপিআর ডিজি। তিনি জানিয়েছেন, এর জবাব দেওয়া হচ্ছে এবং হবে।
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মৃত্যুর পর পাকিস্তানকে দায়ী করে একাধিক পদক্ষেপ করেছে ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেনাবাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়ে দিয়েছিলেন। তার পরিপ্রেক্ষিতেই মধ্যরাতের এই প্রত্যাঘাত। যদিও পহেলগাঁও কাণ্ডে প্রথম থেকেই যোগ অস্বীকার করে এসেছে ইসলামাবাদ।