Sudan Civil War

গৃহযুদ্ধ বিধ্বস্ত সুদানে গণহত্যা চালাল বিদ্রোহী আধাসেনা! নারী, শিশু-সহ ৩০০ জনকে খুন

সুদানের বর্তমান গৃহযুদ্ধের প্রতিপক্ষ জেনারেল আবদেল আল ফতা আল বুরহান এবং জেনারেল মহম্মদ হামদান ডাগালো। প্রথম জন সুদানের সেনাপ্রধান। দ্বিতীয় দেশের আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফ-এর প্রধান।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২৫ ১৬:১২
Share:

সুদানে সামরিক তৎপরতা। ছবি: সংগৃহীত।

রাজধানী খারতুম হাতছাড়া হয়েছে কয়েক মাস আগেই। সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই পরিস্থিতিতে কোণঠাসা হয়ে পড়ে মরিয়া প্রত্যাঘাতের পথ নিল সুদানের আধাসামরিক বাহিনী ‘র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স’ (আরএসএফ)। উত্তর করদোফান প্রদেশে হামলা চালিয়ে নির্বিচারে নারী, শিশু-সহ ৩০০-র বেশি অসামরিক নাগরিককে খুন করল তারা।

Advertisement

২০২৩ সালের এপ্রিলে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধের প্রতিপক্ষ জেনারেল আবদেল আল ফতা আল বুরহান এবং জেনারেল মহম্মদ হামদান ডাগালো। প্রথম জন সুদানের সেনাপ্রধান। দ্বিতীয় দেশের আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফ-এর প্রধান। দু’জন জেনারেলের বিরুদ্ধেই মানবাধিকার ভঙ্গ, লুটতরাজ, নৃশংসতা ও ধর্ষণে মদতের অভিযোগ রয়েছে। গত তিন বছরে দুই জেনারেলের লড়াইয়ে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এক কোটি ২০ লক্ষেরও বেশি মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন।

আরএসএফের হাত থেকে রাজধানী খারতুন দখলের পরে গত মে মাসের গোড়ায় জেনারেল বুরহান সুদানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রাক্তন উচ্চপদস্থ আধিকারিক আল-তায়েব ইদ্রিস আবদেল হাফিজের নাম ঘোষণা করেন। গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। এর পরে গত কয়েক মাসে আরও কিছু এলাকা থেকে জেনারেল ডাগালোর বাহিনীকে পিছু হটতে বাধ্য করেছে সুদান সেনা। এই পরিস্থতিতে মরিয়া হয়ে আরএসএফ বাহিনী সোমবার রাতে বারা শহর এবং আশপাশের গ্রামগুলিতে গণহত্যা চালিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। হামলার পরে ওই এলাকায় কয়েক হাজার বাসিন্দা পালিয়ে গিয়েছেন বলে মঙ্গলবার প্রকাশিত একটি রিপোর্টে জানানো হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement