দুর্ঘটনাগ্রস্ত: ভেঙে পড়া বিমান থেকে আহতদের সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে উদ্ধারকারী দল। বুধবার মেক্সিকোর দুরাঙ্গোয়। এপি
মাটি ছেড়ে ওড়ার সময়েই বিপদটা আঁচ করেছিলেন যাত্রীরা। বিমানটি কয়েক মুহূর্ত উড়ে ভেঙে পড়ার আগেই তাই ঝাঁপ দিয়েছিলেন অনেকে। কেউ কেউ বিমান মাটিতে ভেঙে পড়ার পরে আপৎকালীন দরজা দিয়ে বেরিয়ে যান। ফলে বড়সড় বিমান দুর্ঘটনার পরেও বেঁচে গিয়েছেন সব আরোহীই!
মেক্সিকোর দুরাঙ্গোর ঘটনা। দুরাঙ্গো থেকে দুই শিশু-সহ ৯৯ জন যাত্রী ও ৪ জন বিমানকর্মী নিয়ে অ্যারোমেক্সিকোর ওই উড়ানটি যাচ্ছিল মেক্সিকো সিটি। ওড়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই স্থানীয় সময় বিকেল চারটে নাগাদ ভেঙে পড়ে সেটি। আগুন ধরে যায় তাতে। তার আগেই সব আরোহী বেরিয়ে যান। আহত ৮৫ জন। তাঁদের মধ্যে চালক ও একটি শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। চালকের শিরদাঁড়ায় অস্ত্রোপচার করতে হবে। পা পুড়ে গিয়েছে শিশুটির।
দুরোঙ্গোর গভর্নর সাংবাদিক বৈঠকে জানান, বিমানটি ওড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিকট শব্দে ভেঙে পড়ে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, বিমানটি মাটি ছাড়তেই আচমকা ঝোড়ো হাওয়ার দাপটে হেলে যায়। দ্রুত নামতে থাকে। এর পরে বাঁ দিকের ডানা প্রথম মাটি ছোঁয় এবং দু’টি ইঞ্জিন বিমান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। রানওয়ে থেকে ৩০০ মিটার দূরে গিয়ে পড়ে উড়ানটি।
বেঁচে যাওয়া এক যাত্রীর বক্তব্য, কী ঘটতে চলেছে, তা আঁচ করে তিনি বিমানের সামনে দিয়ে বেরিয়ে আসেন। আর আর এক যাত্রী জানিয়েছেন, বিমানটির উপর বাজ পড়ার জেরেই দুর্ঘটনা। বিমানটিতে ছিলেন মেক্সিকোর এক রাজনৈতিক দলের নেতাও। তাঁর বক্তব্য, বিমানটি রানওয়ে ছাড়তেই আচমকা পড়ে যায়। তিনি বলেন, ‘‘দু’বার বিকট আওয়াজ পাই। এর পরে ভয়ঙ্কর ভাবে কাঁপতে শুরু করে বিমানটি।’’ জ্যাকলিন ফ্লোরেস নামে বিমানের আর এক যাত্রী বলেন, ‘‘দুর্ঘটনার সময় প্রবল বৃষ্টি হচ্ছিল। আমার সঙ্গে মেয়েও ছিল। হঠাৎ দেখলাম, ভিতরটা আগুন আর ধোঁয়ায় ভরে গেল। মেয়েকে নিয়ে আমি বিমানের আপতকালীন দরজা দিয়ে বেরিয়ে এসেছি।’’
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট এনরিক পেনা নিয়েতো টুইটারে লিখেছেন, দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সব রকম সাহায্য করার জন্য প্রতিরক্ষা, সামরিক সুরক্ষা ও পরিবহণ মন্ত্রককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।