শত্রুর শত্রু আমার মিত্র!
দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে বিরোধে চিনের প্রতিপক্ষ ভিয়েতনামকে প্রতিরক্ষায় সাহায্য করতে এগিয়ে এল ভারত। প্রতিরক্ষায় উন্নয়নের জন্য ভিয়েতনামকে ৫০ কোটি ডলার অর্থ সাহায্য দিচ্ছে ভারত।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভিয়েতনাম সফরের প্রথম দিনেই দু’দেশের মধ্যে কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম প্রতিরক্ষায় ভিয়েতনামকে অর্থ সাহায্য। ২০২০ সালের মধ্যে দু’দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়িয়ে ১৫০০ কোটি ডলারে নিয়ে যাওয়ারও লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে বলে বাণিজ্য মন্ত্রক সূত্রের খবর। আগামী দিনে ভারতীয় শিল্পপতিরা যাতে ভিয়েতনামে আরও বেশি করে পুঁজি বিনিয়োগ করেন, তারও অনুরোধ জানিয়েছেন ভিয়েতনামের রাষ্ট্রপতি। প্রধানমন্ত্রী মোদীও ভারতে এসে ব্যবসা করার জন্য আহ্বান জানান ভিয়েতনামের শিল্পপতিদের।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। হ্যানয়ে, শনিবার
ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী ও পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী। হ্যানয়ে, শনিবার।
ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী ও পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী। হ্যানয়ে, শনিবার।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী শনিবার সকালে ভিয়েতনামে পৌঁছলে তাঁকে রাজকীয় অভ্যর্থনা দেওয়া হয় হ্যানয়ে, রাষ্ট্রপতি ভবনে। পরে মধ্যাহ্ণ ভোজে ভিয়েতনামের রাষ্ট্রপতি শিন চাওকে ধন্যবাদ জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী। পরে ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী নগুয়েন শুয়ান ফুকের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক হয় প্রধানমন্ত্রী মোদীর। সেই বৈঠকেই দু’দেশের মধ্যে ১২টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে বলে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ টুইট করে জানিয়েছেন।
ভিয়েতনামকে কেন প্রতিরক্ষা খাতে অর্থ সাহায্য করতে চলেছে ভারত, তার ইঙ্গিত দিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, ‘‘ভিয়েতনামই এখন আসিয়ান দেশগুলির নেতৃত্ব দিচ্ছে। সব দিকেই এ বার ভারত ও আসিয়ান দেশগুলির সম্পর্ককে আমরা আরও শক্তিশালী করে তুলব। সেই জোরালো সম্পর্কের জেরে শুধু দু’টি দেশই উপকৃত হবে তা নয়, তা বাকি আসিয়ান দেশগুলির সমৃদ্ধি, উন্নয়ন, শান্তি, স্থায়িত্বের ক্ষেত্রেও একটি বড় ভূমিকা নেবে।’’
হ্যানয়ে পৌঁছে শনিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী যান ভিয়েতনামের বৌদ্ধ সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র কুয়ান সি-তে। সেখানকার সুপ্রাচীন প্যাগোডা ঘুরে দেখেন তিনি। আধুনিক ভিয়েতনামের কারিগর প্রয়াত হো চি মিনের হ্যানয়ের বাড়িতেও যান প্রধানমন্ত্রী মোদী।