মানসিক ভারসাম্যহীনকে গুলি ফেসবুকে লাইভে, বিতর্কে পুলিশ

গান, কবিতা, সাক্ষাৎকার— এমন অনেক কিছুই আজকাল চলছে ফেসবুক লাইভে। কিন্তু এ বার লাইভে মৃত্যুর ঘটনাও। তবে নেহাতই কাকতালীয় ভাবে। আলামোর টেনিসিতে গুলি চালিয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তিকে মারার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নিউ ইয়র্ক শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৭ ০৪:৫১
Share:

মৃত রডনি

গান, কবিতা, সাক্ষাৎকার— এমন অনেক কিছুই আজকাল চলছে ফেসবুক লাইভে। কিন্তু এ বার লাইভে মৃত্যুর ঘটনাও। তবে নেহাতই কাকতালীয় ভাবে।

Advertisement

আলামোর টেনিসিতে গুলি চালিয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তিকে মারার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। বৃহস্পতিবার পুলিশের হাতে রডনি জেমস হেস নামে ওই ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনা পুরোটাই উঠে এসেছে ফেসবুক লাইভে। কারণ রডনি তখন ফেসুবকে লাইভ ছিলেন। আর তা থেকেই তাঁর প্রেমিকা গোটা ঘটনাটি জানতে পারেন।

প্রেমিকা জনিশা প্রভস্টের বক্তব্য, অসহায় ভাবে রডনিকে মরতে দেখেছেন তিনি। পুলিশের এই আচরণে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ জনিশা বলেছেন, ‘‘মানসিক ভাবে অসুস্থ এক ব্যক্তিকে এ ভাবে মারা হল! মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির সঙ্গে কেমন আচরণ করতে হবে, তা নিয়ে সাধারণ মানুষের আরও সচেতন হওয়া উচিত। পুলিশ তো ওঁকে সাবধান করতে শুধু গাড়ির টায়ারে গুলি করতে পারত। বা অন্য কোনও ভাবে বোঝাতে পারত। মারার তো কোনও দরকার ছিল না।’’

Advertisement

সে দিন অফিসে কাজ করতে করতে হঠাৎই মাসির ফোন পান জনিশা। তাতেই জানতে পারেন, রডনি সমস্যায় পড়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘ফেসবুকে লগ ইন করতেই পুরো ঘটনাটা চোখের সামনে ঘটতে দেখলাম!’’ কী দেখা গিয়েছে লাইভ ভিডিওয়?

টেনিসির পুলিশ রডনির গাড়ি আটকেছিল। পুলিশের বক্তব্য, রডনি তাদের নির্দেশ মানেননি। হাইওয়ের কাছে ভুল জায়গায় গাড়ি রাখা ছিল। পুলিশ অফিসার সে কথা রডনিকে বোঝাতে চাইলেও তিনি বোঝেননি। বরং উল্টোপাল্টা কথা বলেন এবং দু’বার গাড়ি দিয়ে অফিসারকে ধাক্কা মারার চেষ্টা করেন। এর পরেই শুরু উত্তপ্ত বাদানুবাদ। ভিডিওয় দেখা যায়, পুলিশ সার্ভিস রিভলভার থেকে গুলি চালাচ্ছে। উইন্ডশিল্ড ভেদ করে সেই গুলি গিয়ে লাগে রডনির গায়ে।

পুলিশ যদিও দাবি করেছে, রডনি কোনও অস্ত্র ব্যবহার করেননি। তা সত্ত্বেও পুলিশ কেন গুলি চালালো তার কোনও সদুত্তর মেলেনি। ভিডিওয় রডনির গলাও শোনা গিয়েছে। সংশ্লিষ্ট অফিসারকে তিনি বলছেন, ‘‘ওপরতলার অন্য কোনও অফিসারকে ডেকে আনুন।’’ এর কিছু ক্ষণের মধ্যে প্রচণ্ড গোলমালের আওয়াজ শোনা যায়। তার পরে গুলির জোর শব্দ এবং রডনির চিৎকার। ভিডিওর দৃশ্য কাঁপতে কাঁপতে বন্ধ হয়ে যায়।

ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন