International News

রয়্যাল ওয়েডিং আজ, চার্লসের হাত ধরেই গির্জায় যাবেন মেগান

মেগান আগেই জানিয়েছেন, তিনি কাউকে ‘মেড অব অনার’ করবেন না। বন্ধুদের মধ্যে কোনও এক জনকে বেছে নিয়ে কষ্ট দিতে পারবেন না। হ্যারির ‘বেস্ট ম্যান’ হচ্ছেন উইলিয়াম। বিয়েতে পিয়োনি ফুল বেছে নিয়েছেন মেগান। এক সময় মেগানকে এই ফুলই পাঠাতেন হ্যারি।

Advertisement

শ্রাবণী বসু

লন্ডন শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০১৮ ০৩:৩২
Share:

প্রিন্স হ্যারি এবং মেগান মার্কল। —ফাইল চিত্র।

আবহাওয়া দফতর আগেই জানিয়ে দিয়েছে, আজ আকাশ পরিষ্কার থাকবে। রাজপ্রাসাদেও খুশির আবহ। বিয়ের প্রস্তুতি তুঙ্গে। ইতিমধ্যেই প্রাসাদের বাইরে উইনসর হাই স্ট্রিটে ভিড় জমিয়েছেন বহু লোক। যাতে কাছ থেকে বিয়ের সাজে দেখতে পাওয়া যায় হ্যারি ও মেগান মার্কলকে।

Advertisement

গত কাল সেন্ট জর্জ’স চ্যাপেলে বিয়ের মহড়া হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কনেকে বিয়ের দিন উইনসর প্রাসাদ থেকে গির্জায় কে নিয়ে যাবেন, তা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়েছিল। কারণ মেগানের বাবা টমাস মার্কল বিয়েতে আসছেন না। মা ডোরিয়া রাগল্যান্ডই বাবার দায়িত্ব পালন করবেন বলে শোনা যাচ্ছিল গত কয়েক দিন ধরে। আজ অবশ্য কেনসিংটন প্রাসাদের পক্ষ থেকে টুইট করা হয়েছে, হবু শ্বশুরমশায় যুবরাজ চার্লসকে বাবার দায়িত্ব পালন করতে অনুরোধ করেছিলেন মেগান। তিনি খুশি মনেই হবু পুত্রবধূর প্রস্তাবে রাজি হয়েছেন। মেগান এ দিন নিজেই বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, ‘‘খুবই দুঃখের বিষয় যে আমার বিয়েতে বাবা আসতে পারছেন না। ওঁর এখন স্বাস্থ্যের বিষয়ে আরও নজর দেওয়া উচিত।’’ গত কাল হৃদ্‌যন্ত্রে অস্ত্রোপচার হয়েছে টমাস মার্কলের। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, ভাল আছেন। তবে পুরোপুরি সুস্থ হতে সময় লাগবে।

যদিও কিছু দিন আগেই গোল বাধিয়েছিলেন মেগানের বাবা। বিয়ের আগেভাগে পাপারাৎজ়ির সামনে ‘পোজ়’ দেন টমাস। একটি ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড সে খবর প্রকাশ করে। এ-ও অভিযোগ উঠেছিল, ছবির বিনিময়ে তিনি অর্থ নিয়েছেন। প্রথমে সে কথা অস্বীকার করলেও পরে মেনে নেন টমাস। শেষমেশ গোটা বিষয় নিয়ে হইচই হতে তিনি জানিয়ে দেন, মেগানের বিয়েতে আসছেন না। আজ মেগানের বিবৃতিতে স্পষ্ট হল, টমাসের সিদ্ধান্তে সহমত রাজপরিবারও।

Advertisement

বিয়ের আগের দিন গাড়িতে উইনসর প্রাসাদে ঢুকছেন হ্যারি ও মেগান। শুক্রবার। ছবি: রয়টার্স।

সে ক্ষেত্রে মেগানের পরিবারের পক্ষ থেকে একমাত্র তাঁর মা-ই উপস্থিত থাকছেন বিয়েতে। কারণ সৎভাইবোনেদের নিমন্ত্রণ করা হয়নি। নিমন্ত্রণ না পেয়েও অবশ্য মেগানের বহু আত্মীয়-পরিজন লন্ডনে চলে এসেছেন। শোনা যাচ্ছে, বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে ডাকা হয়েছে তাঁদের।

ডোরিয়া লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে লন্ডনে এসেছেন বুধবার। কেনসিংটন প্রাসাদেই রাত কাটান। বিয়েবাড়ির ব্যস্ততায় জেট ল্যাগ কাটানোরও সময় পাননি, তার আগেই রাজপরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে যান তিনি। পরে যুবরাজ চার্লস ও ডাচেস অব কর্নওয়ালের সঙ্গে চায়ের আসরে যোগ দেন। গত কাল উইনসর প্রাসাদে গিয়ে উইলিয়াম ও কেটের সঙ্গে দেখা করেন ডোরিয়া। তবে আপাতত বার্কশায়ারে ক্লাইভডেন এস্টেট হোটেলে রয়েছেন ডোরিয়া। তেমনটাই ঠিক ছিল। বিয়ের আগের রাতটা মেগানও মায়ের সঙ্গে ওই হোটেলে থাকবেন। সঙ্গে থাকবে তাঁর বন্ধুরাও। বিয়েতে ছ’জন ব্রাইডসমেড ও চার জন পেজ বয়, সকলেরই বয়স আটের নীচে। তার মধ্যে শার্লট, জর্জ ছাড়াও রয়েছে হ্যারি মেগানের ‘গড-চিলড্রেন’রা। মেগান আগেই জানিয়েছেন, তিনি কাউকে ‘মেড অব অনার’ করবেন না। বন্ধুদের মধ্যে কোনও এক জনকে বেছে নিয়ে কষ্ট দিতে পারবেন না। হ্যারির ‘বেস্ট ম্যান’ হচ্ছেন উইলিয়াম। বিয়েতে পিয়োনি ফুল বেছে নিয়েছেন মেগান। এক সময় মেগানকে এই ফুলই পাঠাতেন হ্যারি।

পূর্ব লন্ডনের ভায়োলেট বেকারিতে এখন বিয়ের কেকে শেষ ছোঁয়া দিতে ব্যস্ত ক্লেয়ার টাক। হ্যারি-মেগানের জন্য তিনি বানিয়েছেন ‘এলডারফ্লাওয়ার অ্যান্ড লেমন ড্রিজল কেক’। ছ’জন দক্ষ কর্মীকে নিয়ে পাঁচ দিন ধরে কেকটি বানিয়েছেন ক্লেয়ার। উইনসর প্রাসাদে দুপুরের অনুষ্ঠানে ছ’শো অতিথিকে পরিবেশন করা হবে ওই কেক। ‘‘সবার পছন্দ হবে,’’ উত্তেজনায় ফুটছেন ক্লেয়ার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন