হুইটনির সুরে সুরে পা মেলালেন মেগান-হ্যারি

২০১০ সালে মা ডায়ানার আঙটি দিয়ে কেটকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন রাজকুমার উইলিয়াম। হ্যারিও বিয়েতে মায়ের গয়নার বাক্স থেকে সমুদ্রনীল রঙা হীরের আঙটি বেছে নিয়েছিলেন মেগানের জন্য। না থেকেও ছোট ছেলের বিয়ের প্রতিটি মুহূর্তে রয়ে গেলেন প্রাক্তন যুবরানি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লন্ডন শেষ আপডেট: ২১ মে ২০১৮ ০৩:০৯
Share:

জোড়ে: ফ্রগমোর হাউসে রিসেপশন পার্টিতে যাওয়ার পথে নবদম্পতি। ছবি: এপি

মা নেই, কিন্তু মায়ের ছোঁয়া থাকুক সর্বত্র। বিয়ে নিয়ে এমনই ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন রাজকুমার হ্যারি।

Advertisement

২০১০ সালে মা ডায়ানার আঙটি দিয়ে কেটকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন রাজকুমার উইলিয়াম। হ্যারিও বিয়েতে মায়ের গয়নার বাক্স থেকে সমুদ্রনীল রঙা হীরের আঙটি বেছে নিয়েছিলেন মেগানের জন্য। না থেকেও ছোট ছেলের বিয়ের প্রতিটি মুহূর্তে রয়ে গেলেন প্রাক্তন যুবরানি।

যুবরাজ চার্লসের সঙ্গে বিয়ে টেকেনি ডায়ানার। সম্পর্কে জড়ান ডোডি আল ফায়েদের সঙ্গে। কিন্তু ছেলেদের সঙ্গে সম্পর্ক অটুট ছিল। ১৯৯৭ সালের ৩১ অগস্ট প্যারিসে একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় মাত্র ৩৬ বছর বয়সে মারা যান ডায়ানা। উইলিয়াম তখন ১৫। আর হ্যারির বয়স ১২। বাবার সঙ্গে স্কটল্যান্ডের বালমোরাল কাসলে ছুটি কাটাতে গিয়েছিল দুই ভাই। তাদের মায়ের মৃত্যুর খবর দিয়েছিলেন বাবা-ই। ছোট একটা কার্ডে ‘মাম্মি’ লিখে মায়ের কফিনের উপর রেখেছিল হ্যারি। এর পর কেটে গিয়েছে বিশ বছর। মায়ের সঙ্গে কাটানো দিনগুলো ভোলেননি হ্যারি। বিয়েতে মামা-মাসি প্রত্যেককে নিমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন হ্যারি। ডায়ানার বোন লেডি জেন ফেলোস, লেডি সারা ম্যাককরকুয়োডেল এবং ভাই আর্ল স্পেনসার, যোগ দিয়েছিলেন সকলেই। সেন্ট জর্জ’স চ্যাপেলের অনুষ্ঠানে বোনের স্মৃতি তুলে ধরেন জেন। ডায়ানার প্রিয় সাদা গোলাপের গন্ধে তখন ম ম করছে গির্জার আনাচকানাচ।

Advertisement

স্মৃতি: ফেসবুকে এই ছবিটি শেয়ার করেছেন হ্যারি।

সকালের বিয়ের অনুষ্ঠানের মতো সন্ধের পার্টিতেও সাদা পোশাক বেছে নিয়েছিলেন মেগান। স্টেলা ম্যাকার্টনির নক্সা করা হল্টারনেক গাউন পরেছিলেন তিনি। তাঁর অনামিকায় তখন ঝকঝক করছিল সমুদ্রনীল রঙা ডায়ানার সেই হীরে। ভিনটেজ জাগুয়ারে চেপে পার্টির উদ্দেশে রওনা দেন দম্পতি। উইনসর প্রাসাদের ফ্রগমোর হাউসে ছেলের বিয়ের পার্টি দিয়েছিলেন যুবরাজ চার্লস। শ’দুয়েক ঘনিষ্ঠ আত্মীয়-বন্ধু ছাড়া আর কেউ নিমন্ত্রত ছিলেন না। হুইটনি হিউস্টনের গান ‘আই ওয়ানা ডান্স উইথ সামবডি’-র সঙ্গে প্রথম নাচ করেন হ্যারি-মেগান। খাবার ও পানীয়ের মেনুতে ছিল বৈচিত্র। দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন ধরনের পানীয় ছিল পার্টিতে। নাম রাখা হয়েছিল, ‘ড্রিঙ্কস অব দ্য ওয়ার্ল্ড’। স্ন্যাকসে ছিল ক্যান্ডিফ্লস থেকে ‘ডার্টি বার্গার’। জিঞ্জার ও রামের মিশেলে একটি ককটেলের নাম রাখা হয়েছিল— ‘হোয়েন হ্যারি মেট মেগান’।

রূপকথার বিয়ে শুরু হয়েছিল ছক ভেঙে। শেষেও রইল চমক। ডিউক ও ডাচেস অব সাসেক্স জানিয়েছেন, মধুচন্দ্রিমা পরে হবে, তার আগে রাজপরিবারের দায়িত্ব, কর্তব্য বুঝে নেবেন তাঁরা। বিয়ের ঘণ্টা খানেক পরেই রয়্যাল.ইউকে ওয়েবসাইটে নিজের ওয়েবপেজ পেয়েছেন মেগান। সেখানে তাঁর মতাদর্শ, লক্ষ্য, সামাজিক ন্যায়বিচার নিয়ে বক্তব্য রাখেন তিনি। ওই পেজ-এ জানানো হয়েছে, রানিকে সম্মান জানিয়ে রাজপরিবার ও বিশ্বের প্রতি যাবতীয় দায়িত্ব-কর্তব্য পালন করবেন মেগান। সেই সঙ্গে রয়েছে রাজবধূর সেই বিখ্যাত উক্তি— ‘‘এক জন মহিলা ও নারীবাদী হিসেবে আমি নিজেকে নিয়ে গর্বিত।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন