ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে বিক্ষোভ চলছিল লন্ডনের ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে। আগেও এই তারিখে একই জায়গায় বিক্ষোভ দেখিয়েছে বিলেতের ভারত-বিরোধী গোষ্ঠীগুলি। কিন্তু শুক্রবার সেই বিক্ষোভ ঘিরেই ছড়াল উত্তেজনা। হাইকমিশনের সামনে হাজির ভারত-পন্থী গোষ্ঠীর সদস্যদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাধল ভারত-বিরোধীদের। গোলমাল থামাতে সক্রিয় হতে হল পুলিশকে।
‘কালো দিন’ শীর্ষক ভারত-বিরোধী প্রতিবাদের মূল উদ্যোক্তা ব্রিটিশ হাউস অব লর্ডসের পাক বংশোদ্ভূত সদস্য লর্ড নাজির আহমেদ। তিনি জানান, এপ্রিলে মোদীর ব্রিটেন সফরের আগে পর্যন্ত লন্ডনের ভারতীয়-ধ্যুষিত এলাকাগুলিতে পাঁচটি ভ্রাম্যমান বিলবোর্ড ঘুরবে। তাতে থাকবে কাশ্মীর, খলিস্তান, অসম, নাগাল্যান্ড ও মণিপুরের ‘মুক্তির’ দাবি।
প্রজাতন্ত্র দিবসের দুপুরে ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে হাজির হয়েছিলেন এই বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। কিন্তু ভারত-পন্থীদের একটা বড়সড় ভিড়ও ছিল সেখানে। পরস্পরের উদ্দেশে দুই গোষ্ঠীর উত্তপ্ত কথা-চালাচালি চলছিল। এঁরা যখন ‘খলিস্তান আজাদি’ এবং ‘আরএসএস সন্ত্রাসবাদী’ স্লোগান তুলছিলেন, তখন ওঁরা গর্জন করছিলেন, ‘বন্দে মাতরম্’ আর ‘মোদী মোদী বলে। এই সময়েই বেধে যায় অশান্তি। ভারতের জাতীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলতেও দেখা যায় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের একাংশকে।
ভারত-পন্থী একটি গোষ্ঠীর সদস্য জয়ু শাহ বলেন, ‘‘আমরা ভারতের গণতন্ত্র উদযাপন করতে এসেছি।’’ তিনি জানান, ২০১৬-র নভেম্বরে লন্ডনে এসে ডাউনিং স্ট্রিটে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন মোদী। ‘‘তখন থেকেই আমরা ঠিক করে ফেলি, এ বার সরব হতে হবে’’— বলছেন জয়ু।