রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ফাইল চিত্র।
স্থানীয় সময় সন্ধে পৌনে সাতটা। গত কাল প্রচণ্ড বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল সেন্ট পিটার্সবার্গের একটি সুপারমার্কেট। কেউ নিহত না হলেও ঘটনায় ১৩ জন জখম হয়েছেন। এর মধ্যে কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ পর্যন্ত কোনও জঙ্গি সংগঠন ঘটনার দায় না নিলেও আজ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ‘‘আপনারা ভাল করেই জানেন, এটা একটা জঙ্গি হামলা।’’
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, সুপারমার্কেটে ঢোকার আগে যেখানে জিনিস রেখে যেতে হয় ক্রেতাদের, সেখানেই লকারের মধ্যে বিস্ফোরক ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, ২০০ গ্রাম টিএনটি-র সমান শক্তিশালী বিস্ফোরকটি ঘরেই বানানো হয়েছিল। তার ভিতরে ছিল ধারালো ধাতব পদার্থ। তদন্তকারী কমিটির মুখপাত্র শ্বেতলানা পেত্রোঙ্কো বলেন, ‘‘ঠিক কী বিস্ফোরক ছিল, তা এখনও জানা যায়নি। সব দিক মাথায় রেখেই তদন্তের কাজ এগোচ্ছে।’’ এপ্রিলেও সেন্ট পিটার্সবার্গে মেট্রোয় আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় ১৫ জন নিহত হন। সে বার আল কায়দার শাখা সংগঠন দাবি করে, মুসলিম রাষ্ট্রগুলির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে যে দেশগুলো, তাদের জন্য এই বার্তা।
আজ সেনার এক বৈঠকে ‘সন্ত্রাস হামলা’র কথা জানিয়ে পুতিন অবশ্য স্পষ্ট করে দেন, কেউ যেন না ভাবে এর জেরে সিরিয়া থেকে রুশ সেনা সরে যাবে। তাঁর কথায়, ‘‘সিরিয়ায় যে হাজার হাজার রুশ সেনা আইএস-এর বিরুদ্ধে লড়ছে, তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে পড়বে। পুতিন এটাও জানান, দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর সুরক্ষার বিষয়টিও সমান গুরুত্বপূর্ণ। ফলে কোনও ব্যক্তিকে সন্দেহভাজন মনে হলে আত্মরক্ষার্থে ওই ব্যক্তিকে নিকেশ করে দিতে পারে রুশ সেনা।
এ মাসের গোড়াতেই কয়েক জন আইএস জঙ্গিকে গ্রেফতার করে রুশ নিরাপত্তা বাহিনী। কাজান ক্যাথিড্রাল উড়িয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র ছিল তাদের। মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ-এর সাহায্যে সে হামলা এড়ানো গিয়েছিল। পুতিন তাই প্রশংসাও করেন সিআইএ-র।