একই শত্রুর বিরুদ্ধে লড়ছে দুই দেশ। ইরাকে আইএসআইএস (ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া) জঙ্গিদের দমন করতে মার্কিন বাহিনী এগিয়ে এসেছে। তা হলে সিরিয়া নিয়ে তারা চুপ কেন? প্রশ্ন তুলেছে সিরিয়ার জাতীয় বিরোধী জোট।
সিরিয়ায় আইএসআইএস-এর হামলায় গত দু’দিনে সাতশোরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। তার পরই মার্কিন সেনাকে তৎপর হওয়ার আর্জি জানিয়েছে সে দেশের বিরোধী জোট। যদিও আল জাজিরার দাবি, এই আবেদন স্বতঃপ্রণোদিত নয়। বরং মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরই তাদের দিয়ে এই সব বলাচ্ছে। ভবিষ্যতে সিরিয়া আক্রমণের জন্য তারা এই ভাবে আন্তর্জাতিক সমর্থন জোটাতে চাইছে কি না, সে প্রশ্নও উঠছে। বিরোধী জোটের আবেদন বলছে, “সিরিয়ার সেনাকে স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে মার্কিন সেনা বা অন্য কোনও দেশ আমাদের সাহায্য করুক।” এর আগে গত কালও পড়শি দেশে মার্কিন বিমান হামলার প্রসঙ্গ টেনে বিরোধী জোটের নেতা হাদি আল-বাহরা বলেছিলেন, “রাষ্ট্রপুঞ্জ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ, কুর্দিস্তানের লড়াইয়ের সঙ্গে সিরিয়া নিয়েও ভাবনাচিন্তা হোক।”
এ দিকে, গত কাল ইরাকের মসুলের অদূরে মার্কিন সেনার বোমাবর্ষণের পর সেখান থেকে আইএসআইএসকে হটাতে তৎপর হয় কুর্দ বাহিনী। অগস্টের শুরুতেই দেশের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্প মসুল বাঁধ দখল করে আইএসআইএস। ওই বাঁধ থেকেই সারা দেশে বিদ্যুৎ এবং জল সরবরাহ হয়। আজ রাতে কুর্দ বাহিনী জানিয়েছে, অভিযান চালিয়ে বাঁধ পুনর্দখল করেছে তারা। ইরাকের সদ্য প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী হোসার জাবারি জানান, এর পর উত্তর ইরাকের নিনেভে সমভূমি জঙ্গিদখল মুক্ত করে সংখ্যালঘুদের ঘরে ফেরানোই সেনার পরবর্তী লক্ষ্য। তবে জঙ্গিরা গত ক’দিনে রাজধানী বাগদাদের আশপাশে ঘাঁটি গেড়েছে। মার্কিন বাহিনীর পাশাপাশি ইরাকের সেনা এবং কুর্দ বাহিনী যদিও এখনও মসুল এবং আর্বিলেই নজরদারি চালাচ্ছে।
গত কালই আইএসআইএস-এর বিরুদ্ধে ইরাকের প্রাকৃতিক সম্পদ হস্তগত করার অভিযোগ তোলেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মার্কিন প্রতিনিধি সামান্থা পাওয়ার। কিন্তু বাঁধে নজর দিতে গিয়ে রাজধানী অরক্ষিত হয়ে পড়ছে না তো? ইরাকের রাজনৈতিক শিবিরে এই আশঙ্কাটাও ঘুরপাক খাচ্ছে।