হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আক্রান্ত প্রদীপ সিংহ। ছবি: সংগৃহীত।
আরও এক বার অস্ট্রেলিয়ায় বর্ণবিদ্বেষী আক্রমণের শিকার হলেন এক ভারতীয় ট্যাক্সিচালক। জাতীয় পরিচয় নিয়েও করা হল অশ্লীল মন্তব্য। মারধরের পর বলা হল, ‘‘ভারতীয় হিসেবে এটাই প্রাপ্য।’’
গত শনিবার অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়ার ঘটনা। আক্রান্ত ট্যাক্সিচালকের নাম প্রদীপ সিংহ। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পেয়ে তিনি এখন অস্ট্রেলিয়ার এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বছর পঁচিশের প্রদীপ সে দেশে হসপিটালিটি নিয়ে পড়াশোনা করছেন। তাঁর অভিযোগ, গত শনিবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ এক অস্ট্রেলীয় দম্পতি তাসমানিয়ার ম্যাকডোনাল্ডসের ড্রাইভ-থ্রু থেকে তাঁর গাড়িতে ওঠেন। কিন্তু তিনি বারণ করা সত্ত্বেও জোর করেই গাড়ির দরজা খোলা রেখে দেন তাঁরা। কথা না শোনার জন্য প্রদীপ ওই দম্পতিকে গাড়ি থেকে নেমে যেতে বলেন। এর পরেই প্রবাসী ভারতীয় ওই গাড়িচালককে হেনস্থা করতে শুরু করেন ওই দম্পতি। গাড়ির দেওয়ালে একনাগাড়ে লাথি মারতে থাকেন। এখানেই শেষ নয়, ওই দম্পতি গাড়িচালককে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজও করেন। ভারতীয় হিসেবে এমন ব্যবহারই প্রাপ্য বলেও তাঁকে ব্যঙ্গ করা হয় বলেও অভিযোগ প্রদীপের।
আরও পড়ুন: ‘বার বার সন্ত্রাসের শিকার ভারত’, আরব থেকে প্রতিরোধের ডাক ট্রাম্পের
মৌখিক বচসার পরে প্রদীপকে মারধরও শুরু করেন ওই ব্যক্তি। প্রথমে চালককে ঘুষি মেরে মাটিতে ফেলে তাঁকে বেধড়ক মারা হয়। এই ঘটনা দেখে কিছু পথচারী সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন এবং তাঁরাই পুলিশ ও অ্যাম্বুল্যান্সে খবর দেন। এই ঘটনার এক সাক্ষী নিজে থেকে এগিয়ে এসে পুলিশকে সহায়তার জন্য ঘটনার ভিডিও ফুটেজ পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন। স্থানীয় পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু হয়েছে। এই ঘটনার পর আতঙ্কে প্রদীপ। তিনি বলেন, ‘‘এর পর আমি আর এখানে ট্যাক্সি চালাবো না।’’
এ বছরে এই নিয়ে তৃতীয় বার অস্ট্রেলিয়ার বুকে ভারতীয় ট্যাক্সিচালকের উপর আক্রমণের ঘটনা ঘটল। গত মার্চ মাসে লি ম্যাক্স নামে এক ভারতীয় ট্যাক্সিচালকের উপর হামলা হয়েছিল।