২৩ বছর পরে খুলল ধর্ষণের নমুনার কিট

এত দিন পরে সেই কিট গবেষণাগারে পাঠানো হয়। এক মাস পরে দেখা যায়, এক জন পুরুষের ডিএনএ-এর সঙ্গে তা মিলেও গিয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মায়ামি শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০১৯ ০১:৪৫
Share:

এই ব্যক্তিকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।

বছর ২৩ আগেকার দিন। কিন্তু এতটাই যন্ত্রণাদায়ক যে এম জে-র (এই নামই রয়েছে পুলিশের কাছে) স্মৃতিতে এখনও তা জ্বলজ্বল করছে। ১৯৯৬ সালের ৭ জানুয়ারি দু’জন পুরুষের সঙ্গে একটি বার-এ গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তাঁর পানীয়ে কিছু মিশিয়ে খাওয়ানো হয়। তার পরে তাঁর আর কিছু মনে নেই।

Advertisement

জ্ঞান আসার পরে তিনি বুঝেছিলেন একটি হোটেলের কোনও বিছানায় শুয়ে আছেন। চারপাশে পড়ে থাকা তথ্যপ্রমাণ থেকে তাঁর বুঝতে অসুবিধে হয়নি যে তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। সে সব প্রমাণ পুলিশের হাতে পৌঁছনো সত্ত্বেও অভিযুক্তরা ধরা পড়েনি। ২৩ বছর আগের ওই ঘটনায় কেন কেউ সাজা পেল না, তা জানা গেল ২০১৯ সালে এসে! ফ্লরিডার কোরাল স্প্রিংস শহরের গোয়েন্দারা ওই ঘটনাটি নিয়ে নাড়াচাড়া করতে গিয়ে দেখেন, ধর্ষণের প্রমাণ হিসেবে ডিএনএ নমুনা, রক্ত-সহ যা যা সংগ্রহ করা হয়েছিল, তার সব কিছু রাখা হয়েছিল ‘রেপ-কিট’-এ। এখন জানা যাচ্ছে, সেই ‘রেপ-কিট’টা কখনও পরীক্ষার জন্য খোলাই হয়নি।

এত দিন পরে সেই কিট গবেষণাগারে পাঠানো হয়। এক মাস পরে দেখা যায়, এক জন পুরুষের ডিএনএ-এর সঙ্গে তা মিলেও গিয়েছে। এই মামলার নথি থেকে জানা গিয়েছে, ২৩ বছর আগে ১৭ বছর বয়সি এম জে-র শরীর থেকে যে ব্যক্তির ডিএনএ মিলেছিল, তার নাম রুবেন চাভেস। সেই সময়ে ৩২ বছরের ওই ব্যক্তি মাদক রাখার অপরাধে পুলিশ হেফাজতেই ছিল। কিন্তু তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়নি।

Advertisement

গত ১৮ নভেম্বর চাভেসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার ডিএনএ নমুনা যদি আগে পাওয়া যেত এবং ফ্লরিডার গবেষণাগারে ওই কিট পরীক্ষা করা হত, তা হলে শুধু চাভেস নয়, অন্য অভিযুক্তের খোঁজও মিলত বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন