প্রতীকী ছবি।
আট বছরের শিশু জয়নাবকে ধর্ষণ করে খুনের প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেটে পড়ল পাক-পঞ্জাব। পুলিশ-জনতা সংঘর্ষে দু’জনের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। দেশ জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ভারতের নির্ভয়ার ঘটনার কথা মনে পড়িয়ে দিচ্ছে অনেককেই। ‘জাস্টিস ফর জয়নাব’ স্লোগােন মুখরিত পাকিস্তান।
গত সপ্তাহে কাসুর জেলায় অপহরণ করা হয় এক নাবালিকাকে। তার বাবা-মা সে সময় ‘উমরাহ’ (মুসলিমদের তীর্থযাত্রা) করতে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন। সে জন্য আত্মীয়দের কাছে থাকছিল মেয়েটি। সেখান থেকেই তাকে অপহরণ করে দুষ্কৃতীরা। গত কাল রাতে শহরের একটি আবর্জনার স্তূপ থেকে শিশুটির দেহ উদ্ধার হয়। ময়নাতদন্তে প্রকাশ, ধর্ষণের পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে শিশুটিকে।
ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই ফেটে পড়েছে প্রতিবাদ। তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রধান ইমরান খান, প্রাক্তন সামরিক শাসক পারভেজ মুশারফ থেকে শুরু করে শোয়েব মালিক, মহম্মদ হাফিজের মতো ক্রিকেটার, সকলে একযোগে সরব হয়েছেন।
কাসুরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত। সিসিটিভি ফুটেজ থাকা সত্ত্বেও কেন পুলিশ মূল অভিযুক্তকে ধরতে পারছে না, সেই রাগেই ফেটে প়ড়ে জনতা। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে পাথর ছুড়তে শুরু করে তারা। বন্ধ করে দেওয়া হয় দোকানপাট। প্রতিবাদীদের ঠেকাতে গুলি চলেছে। গুলি লেগেই দুই বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। মূল অভিযুক্ত ধরা না পড়া পর্যন্ত মেয়ের দেহ সমাহিত করবেন না বলে জানিয়েছেন জয়নাবের বাবা।
পঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সব মিলিয়ে বেশ চাপের মুখে। পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী, নওয়াজ ভাইকে বলেছেন, অবিলম্বে যেন দোষীরা ধরা পড়ে। আপাতত পুলিশ চার সন্দেহভাজনকে আটক করেছে। ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মনসুর আলি শাহ। শাহবাজ নিজেও বলছেন, অপরাধীরা ধরা না পড়া অবধি তিনি বিষয়টি নজরে রাখবেন। বিরোধী দল পিপিপি-র চেয়ারম্যান বিলাবল ভুট্টো বলেন, ‘‘এই ঘটনা শরিফ-ভাইদের মুখে বড়সড় থাপ্পড়।’’