‘জুলিয়েট’ নামের সেই ব্যাঙ।
বয়স বছর দশেক তো হবেই। এ অবস্থায় পাত্রী না পেলেই নয়। কিন্তু ‘জুলিয়েট’-এর খোঁজ দিতে পারছিলেন না কেউ। বলিভিয়ার সংরক্ষণাগারের ট্যাঙ্কে একাই দিন কাটছিল ‘রোমিয়ো’-র।
রোমিয়ো একটি বিশেষ প্রজাতির ব্যাঙ। প্রায় এক দশক আগে তাকে বলিভিয়ার ‘মেঘ অরণ্য’ (সারা বছর মেঘে ঢাকা থাকে) থেকে উদ্ধার করেন বিজ্ঞানীরা। ওই জঙ্গলে তার স্বজাতি কিংবা অন্য প্রজাতির ব্যাঙেরা তখন প্রাণঘাতী ছত্রাক রোগে আক্রান্ত। বিজ্ঞানীরা তাকে তুলে আনেন সংরক্ষণাগারে। আশায় ছিলেন, ওকে বাঁচিয়ে যোগ্য ‘পাত্রী’ খুঁজে বার করা হবে। পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হতে বসা তার প্রজাতিকে রক্ষা করবে রোমিয়ো।
কিন্তু সন্ধানে নেমে মাথায় হাত পড়ে বিজ্ঞানীদের। ওই প্রজাতির কোনও ব্যাঙ মিলছিল না। শেষে ‘ওয়ার্ল্ড’স লোনলিয়েস্ট ফ্রগ’ নামে একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট খোলেন বিজ্ঞানীরা। সেই সঙ্গে ‘ম্যাচ.কম’ নামে একটি প্রোফাইলও খোলা হয়। রোমিয়োর অসহায় অবস্থা দেখে সাহায্যের হাত বাড়ান অনেকে। ২৫ হাজার ডলার ওঠে। সেই অর্থ দিয়ে রোমিয়োর প্রেমিকার সন্ধানে একটি বিশেষজ্ঞ দল পাঠানো হয়েছিল মেঘ-অরণ্যে। সুখবর নিয়েই ফিরেছেন বিজ্ঞানীরা। জুলিয়েটকে খুঁজে পান প্রকৃতিবিদ টেরেসা কামাচো বাদানি। খুব শিগগির ব্যাঙের বিয়ে দেওয়া হবে। বিশেষজ্ঞদের আশা, দু’জনের একে অপরকে মনে ধরবে। সন্তানও আসবে। বাচ্চাদের আবার জঙ্গলেই পাঠানো হবে বলে স্থির করেছেন বিজ্ঞানীরা। যাতে তারা মেঘ-অরণ্যে নিজেদের ঘরেই বড় হতে পারে।