Russia-Ukraine War

‘বৃহত্তম বন্দি বিনিময়’ রাশিয়া এবং ইউক্রেন সেনার, তিন বছরের যুদ্ধে কি এ বার বিরতির সম্ভাবনা?

শুক্রবার রাতে বেলারুশ সীমান্তে দু’দেশই ৩৯০ জন করে (২৭০ জন করে সেনা এবং ১২০ জন করে অসামরিক নাগরিক) নাগরিককে পরস্পরের হাতে তুলে দিয়েছে। এর পরেই যুদ্ধবিরতি জল্পনা দানা বেঁধেছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০২৫ ১০:৪১
Share:

বেলারুশ সীমান্তে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধবন্দি বিনিময়। ছবি: রয়টার্স।

দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় ঐকমত্য হয়েছিল এক সপ্তাহ আগেই। তা মেনে নিয়ে এ বার যুদ্ধবন্দি বিনিময়ের প্রক্রিয়া শুরু করল রাশিয়া এবং ইউক্রেন। শুক্রবার রাতে বেলারুশ সীমান্তে দু’দেশই ৩৯০ জন করে (২৭০ জন করে সেনা এবং ১২০ জন করে অসামরিক নাগরিক) নাগরিককে পরস্পরের হাতে তুলে দিয়েছে।

Advertisement

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ শুরুর পরেই এটাই রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে বৃহত্তম যুদ্ধবন্দি বিনিময়। প্রসঙ্গত যুদ্ধ শুরুর তিন বছর পরে গত সপ্তাহে প্রথম বার কোনও মধ্যস্থতাকারী ছাড়াই মুখোমুখি আলোচনায় বসেছিল দু’পক্ষ। তুরস্কের ইস্তানবুলে ওই বৈঠকে যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত না হলেও দু’পক্ষই পর্যায়ক্রমে ১০০০ জন করে যুদ্ধবন্দি বিনিময়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

সেই সিদ্ধান্ত মেনেই বন্দি বিনিময়ের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দফতর শনিবার জানিয়েছে। ক্রেমলিনের দাবি, রাশিয়ার কুর্স্ক সীমান্ত অঞ্চলে ইউক্রেন সেনার হামলার সময় গত বছর ওই সামরিক ও অসামরিক নাগরিকদের বন্দি করা হয়েছিল। অন্য দিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি সমাজমাধ্যমে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘‘আমরা আমাদের মানুষদের ঘরে ফিরিয়ে আনছি।’’

Advertisement

বন্দি বিনিময়ের পরে নতুন করে আলোচনায় এসেছে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা। ইস্তানবুল বৈঠকের পরে জ়েলেনস্কি সরকারের তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল, রাশিয়ার অনমনীয় মনোভাবের কারণেই যুদ্ধবিরতি নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি বৈঠকে। ইউক্রেনের বিদেশ দফতর বলেছে, ‘‘রাশিয়ার তরফে এমন শর্ত দেওয়া হয়েছে, যা বাস্তবোচিত নয়।’’ অন্য দিকে, তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে রাশিয়া দাবি করেছিল, ‘‘আলোচনা সঠিক দিশাতেই এগোচ্ছে।’’ মার্কিন সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় আন্তর্জাতিক ভাবে ‘ইউক্রেনের ভূখণ্ড’ হিসেবে স্বীকৃত ক্রাইমিয়া এবং ডনবাসে (ডনেৎস্ক এবং লুহানস্ক অঞ্চলকে একত্রে এই নামে ডাকা হয়) রুশ দখলদারি বজায় রাখার অনড় মনোভাব দেখিয়েছেন পুতিন। কিন্তু কিভ তা মানতে রাজি নয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement