নিষেধাজ্ঞার পাল্টা নিষেধাজ্ঞা। আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও নরওয়ে থেকে আনা খাদ্যদ্রব্য রাশিয়ায় নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দিলেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভ আজ এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন। যা শুনে অনেকেই বলছেন আমেরিকার অস্ত্রেই আমেরিকাকে কাত করছে চাইছেন পুতিন।
আমেরিকা থেকে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণে মাংস আসে রাশিয়ায়। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলির কাছ থেকে প্রচুর ফলও কিনত রাশিয়া। কিন্তু আগামী এক বছরের জন্য ওই দেশগুলি থেকে কোনও খাবারই আর কিনবে না রাশিয়া। মস্কো-সহ দেশের বড় বড় শহরের ক্রেতাদের একটা বড় অংশ এই খাবারগুলির উপর নির্ভরশীল। মার্কিন কৃষি দফতরের হিসেব অনুযায়ী, গত বছর আমেরিকা থেকে একশো তিরিশ কোটি ডলারের মাছ ও মাংস কিনেছিল রাশিয়া। আর ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ফল আর সব্জি এসেছে এক হাজার পাঁচশো আশি কোটি ডলারের। সে সবই এক ধাক্কায় বন্ধ করার ব্যবস্থা করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
তবে পুতিন এটাও খুব ভালই জানেন, আচমকা এই সব বিদেশি খাদ্যদ্রব্য আমদানি বন্ধ হয়ে গেলে তাঁর দেশের মানুষই সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়বেন। তাই মন্ত্রীদের প্রতি তাঁর নির্দেশ, এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশের মানুষের যাতে অসুবিধা না-হয়, তার ব্যবস্থা সরকারকেই করতে হবে।
গত কয়েক মাস ধরে চলা ইউক্রেন সমস্যায় রুশ ভূমিকা নিয়ে এর আগেও বহু বার মুখ খুলেছে আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। কৃষ্ণ সাগরের উপদ্বীপ ক্রাইমিয়া রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পরে বেশ কিছু পুতিন-ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি ও সংস্থার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করে আমেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। গত মাসে ইউক্রেনের আকাশে মালয়েশীয় বিমান এমএইচ-১৭ ধ্বংস হওয়ার পিছনেও রাশিয়ার থাকার অভিযোগ থাকায় সেই নিষেধাজ্ঞা আরও জোরদার হয়।
শুধু খাদ্যদ্রব্যই নয়, এ বার পশ্চিমী দেশগুলির বিমান চলাচলের উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে রাশিয়া। রুশ প্রধানমন্ত্রী আজ অন্তত সেই রকম ইঙ্গিতই দিয়ে রেখেছেন। এশিয়া ও ইউরোপের দেশগুলির মধ্যে যে সব বিমান চলাচল করে সেগুলির অধিকাংশই রুশ আকাশসীমা দিয়ে যায়। রাশিয়া তাদের আকাশ ব্যবহার করতে না দিলে পশ্চিমী দেশগুলির প্রত্যেকটি বিমানকে ঘুরপথে যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে বিমান যাত্রার সময় আর খরচ দু’টোই বাড়তে পারে। তবে এ বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি পুতিন। যুদ্ধজাহাজ, বিমান ও গাড়ি আমদানির ক্ষেত্রেও শর্ত আরোপ করার কথা ভাবছে পুতিন সরকার। তবে সরকার সব দিক খতিয়ে দেখেই সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন মেদভেদেভ।
মাকড়সা মারতে বাড়িতে আগুন
সংবাদ সংস্থা • লন্ডন
এ যেন মাকড়সা মারতে কামান দাগা! বুধবার ওয়েলসের ঘটনা। জানলার কাছে আটপেয়েটিকে ঘুরঘুর করতে দেখে মোটেই ভাল লাগেনি গৃহকর্তার। বহু চেষ্টা করেও সেটিকে তাড়াতে পারেননি তিনি। শেষে কীটনাশক স্প্রে করেন। কিন্তু তাতেও যে কে সেই। নড়নচড়নের লক্ষণই নেই মাকড়সার। বাধ্য হয়ে ঠিক করেন দেশলাই কাঠি জ্বালিয়ে ভয় দেখাবেন। যেমন ভাবা, তেমন কাজ। আর দেশলাই জ্বালাতেই ছোটখাটো বিস্ফোরণ। দাউ দাউ করে জ্বলে উঠল ঘর। ছুটে এল দমকল। পরিস্থিতি দেখে তো তারা হতবাক। পরে দমকলের এক কর্মী বললেন, “এ ধরনের কীটনাশক স্প্রে-তে এরোসল থাকে, যা দাহ্য পদার্থ। তাই স্প্রে করার পরে দেশলাই কাঠি জ্বালাতেই বিপত্তি।” গত মাসে আমেরিকার সিয়াটলে একই ঘটনা ঘটেছিল। মাকড়সা মারতে গিয়ে প্রায় ২৩০০০ পাউন্ডের সম্পত্তি পুড়িয়ে ফেলেন এক মার্কিন নাগরিক। মাকড়সাটির যে কী হল, তা অবশ্য জানা যায়নি।