সংসদ ভবন। ফাইল চিত্র।
নির্বাচনের আগে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ভারতের জনমত প্রভাবিত করতে পরিকল্পনা করছে রাশিয়া। মার্কিন আইনসভার গোয়েন্দা বিষয়ক কমিটির কাছে এই রিপোর্ট জমা দিলেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সোশ্যাল মিডিয়া বিশেষজ্ঞ ফিলিপ হাওয়ার্ড।
সোশ্যাল মিডিয়াতে বিদেশি রাষ্ট্রের প্রভাব কতটা, তা নিয়েই শুনানি ছিল মার্কিন আইনসভার ইনটেলিজেন্স কমিটিতে। সেখানেই এই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ফিলিপ হাওয়ার্ড। যদিও এর বেশি কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।
এর আগে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মার্কিন নির্বাচনেও প্রভাব খাটিয়েছিল রাশিয়া। ২০১৭ সালে সেই কথা স্বীকারও করে নিয়েছিল মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। ২০১৬- র সেই নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় এসেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ ছাড়া হাঙ্গেরির নির্বাচনেও জনমত তৈরিতে রুশ প্রভাবের কথা সামনে এসেছিল।
শুধু ভারত নয়, রাশিয়ার নজরে আছে ব্রাজিলও। কারণ দুটি দেশেই অসংখ্য সংবাদমাধ্যম আছে, যাঁরা পুরোদস্তুর পেশাদার নয়। মার্কিন সংবাদমাধ্যম পৃথিবীর অন্যতম পেশাদার হওয়া সত্ত্বেও ২০১৬ তে রাশিয়ার প্রভাব থেকে বেরোতে পারেনি। পেশাদার বলতে ফিলিপ হাওয়ার্ড বলছেন, খবর প্রকাশের আগে তার সত্যতা ও উৎস ভালভাবে যাচাই করে নেওয়া।
এই ধরনের প্রভাব থেকে মুক্ত থাকতে হলে কী করা উচিত?
ভারতের ও ব্রাজিলের ছোটখাটো সংবাদমাধ্যমগুলির আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। কারণ, নির্বাচনের ঠিক আগে ভারতের সোশ্যাল মিডিয়ায় রাশিয়ার উপস্থিতি নজরে আসছে বলে মার্কিন গোয়েন্দাদের জানিয়েছেন হাওয়ার্ড।
আরও পড়ুন: উঠল মার্কিন নিষেধাজ্ঞা, রুশ অস্ত্র কিনতে পারবে ভারত
কিছু বোঝার আগেই ভুল তথ্য সম্বলিত পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দিতে দক্ষ রুশ বিশেষজ্ঞরা। ২০১৭ সালে এই কথা জানার পরও, তা আটকাতে এখনও কোনও পাল্টা ব্যবস্থা তৈরি করতে পারেনি আমেরিকা। শুনানিতে একথা জানিয়েছেন মার্কিন আইনসভার সদস্য ও গোয়েন্দা বিষয়ক কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্ক ওয়ার্নার।
আরও পড়ুন: এটিএম কার্ড ব্যবহার করেন? জালিয়াতি থেকে কী ভাবে সাবধান হবেন
আমেরিকা যেখানে ব্যর্থ, সেখানে ১৩০ কোটি দেশের ভারত কতটা সফল হবে, উদ্বেগ তা নিয়েই। একই সঙ্গে এটাই চ্যালেঞ্জ পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্রের।