বিষাক্ত রাসায়নিক গ্যাসে উত্তর সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২। আক্রান্ত ২০ শিশুও। সিরিয়া সরকার রাসায়নিক হামলার দাবি নস্যাৎ করতে চাইলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) আজ জানিয়েছে, আক্রান্তদের কয়েক জনকে পরীক্ষা করে তাঁদের শরীরে নার্ভ এজেন্টের (ফসফরাস সমৃদ্ধ ক্ষতিকারক রাসায়নিক যা দেহের স্নায়ুতন্ত্রে আঘাত হানে) উপস্থিতি মিলেছে।
গত ছ’বছরের সিরীয় গৃহযুদ্ধে ইদলিবের উপরে এই আঘাত সব চেয়ে ভয়ঙ্কর বলে ইতিমধ্যেই বলতে শুরু করেছে বিভিন্ন মানবাধিকার পর্যবেক্ষক সংস্থা। আমেরিকা, ব্রিটেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন একযোগে সমালোচনা করেছে এই ঘটনার। বাকি পৃথিবী আসাদ সরকারের সমালোচনায় সরব হলেও রুশ সরকার নিজেদের মিত্র দামাস্কাসের পাশেই দাঁড়িয়েছে। তাদের মতে, জঙ্গিদের ডেরা ধ্বংস করার জন্য বিমান হানা হয়েছিল। ইদলিবের যে বাড়িতে বিমান থেকে হামলা রয়েছে, সেটি জঙ্গিদের অস্ত্রে ঠাসা ছিল বলে দাবি রুশ প্রশাসনের। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ আজ বৈঠক ডেকেছে।
আপাতত আরও একশো জনের চিকিৎসা চলছে ইদলিব প্রদেশে। সঙ্কটজনক অবস্থায় কয়েক জনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তুরস্কে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘সিরিয়ায় মহিলা, শিশু-সহ সাধারণ মানুষের উপরে রাসায়নিক হানা অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা। এই ঘটনা সভ্য সমাজ উপেক্ষা করতে পারে না।’’ নিন্দা করেছেন পোপ ফ্রান্সিসও।
কাল ওই বিমানহানার কয়েক ঘণ্টা পরে ইদলিবের একটি হাসপাতালেও বিস্ফোরণ ঘটে। সেখানে আহতদের চিকিৎসা চলছিল। ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে, পড়ে রয়েছে নিথর শিশুদের দেহ। মুখে ফেনা। আজ পর্যবেক্ষকরা বেশ কিছু বাড়িতে ঢুকে দেখেছেন, বিছানায় পড়ে মৃতদেহ।