সেই তরোয়াল ও সাগা ভানেসেক
দেড় হাজার বছরের পুরনো তরোয়াল খুঁজে পেল আট বছরের কন্যে। দক্ষিণ সুইডেনের এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই দাবি উঠেছে, এই মেয়েকে ‘সুইডেনের রানি’ উপাধি দেওয়া হোক। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে চলছে জোর জল্পনাও।
সুইডিশ-মার্কিন সেই মেয়ে সাগা ভানেসেক এই গ্রীষ্মের ছুটিতে ‘ভিডোস্টার্ন লেক’-এ খেলতে খেলতে খুঁজে পায় সেই তরোয়াল। স্থানীয় মিউজিয়ামের বিশেষজ্ঞরা তরোয়ালটি দেখে বলেছেন, এটি অন্তত দেড় হাজার বছরের পুরনো। স্থানীয় কাগজে ভানেসেক বলে, ‘‘আমি জলের ধারে বসেছিলাম। জলের মধ্যে লাঠি আর পাথর ছুড়ছিলাম। দেখছিলাম ওগুলো কত দূর যায়। ওই করতে করতেই জলে নামি, একটা লাঠি খুঁজে পেলাম। সেটা তুলে নিয়ে জলেই ফেলে দিতে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ নজরে এল, সেটার একটা হাতল রয়েছে। শেষের দিকটা একটু ছুঁচলোও মনে হল। পুরোটায় মরচে ধরা। তখনই আমি চেঁচিয়ে উঠি, বাবা আমি একটা তরোয়াল খুঁজে পেয়েছি! বাবাও ছুটে আসে ওটা দেখতে।’’
সাগার বাবা অ্যান্ডি ভানেসেক জানিয়েছেন, লৌহ যুগের এই তরোয়ালের হাতল কাঠ আর চামড়ায় তৈরি। স্ক্যান্ডিনেভিয়ায় এমন তরোয়াল এই প্রথম পাওয়া গেল। গত জুলাই মাসে তাঁর মেয়ে কাদার মধ্যে এটি খুঁজে পায় বলে জানিয়েছেন অ্যান্ডি। সে খবর প্রকাশ্যে এসেছে এত দিনে। তাঁদের বাড়ি ছিল মিনেসোটায়। গত বছর তাঁরা মিনিয়াপলিস থেকে সুইডেনে থাকতে আসেন। এখানকার জনকোপিংস ল্যান্স মিউজিয়ামের বিশেষজ্ঞ মিকাইল নর্ডস্ট্রম জানান, এই তরোয়াল পাওয়ার পরে হ্রদে ফের তল্লাশি চালানো হয়েছে। সেখানে প্রাগৈতিহাসিক ব্রোচ-ও মিলেছে। বিশেষজ্ঞরা প্রথমে ভেবেছিলেন, ওই চত্বরে কোনও কবরখানা রয়েছে। পরে তাঁদের মনে হয়েছে, হ্রদটি হয়তো ‘উৎসর্গের’ জায়গা হিসেবে ব্যবহার করা হত।