International News

এ বার দেশের সেনাবাহিনীতেও সৌদির মহিলারা

পুরুষতান্ত্রিক সমাজে এখনও সৌদির মহিলাদের উপর একাধিক বিধিনিষেধ রয়েছে। এখনও তাঁদের আপাদমস্তক হিজাবে ঢেকে বাইরে বেরোতে হয়। তবে গত মাসে পুরুষদের পাশাপাশি মাঠে বসে ফুটবল খেলা দেখার সুযোগ পেয়েছেন সৌদি মহিলারা। সুযোগ এসেছে পুরুষদের অনুমতি ছাড়াই স্বাধীন ভাবে ব্যবসা করার।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

রিয়াধ শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ২১:২১
Share:

ছবি: টুইটারের সৌজন্যে।

দেরিতে হলেও সৌদি আরবে ধীরে ধীরে বাড়ছে মহিলাদের কর্মক্ষেত্রের পরিধি। শিল্প-বাণিজ্য, রাজনীতির পর এ বার সৌদি মহিলাদের সামনে এল দেশের সেনাবাহিনীতে কাজের সুযোগ। সৌদি আরবের যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনের দৌলতে।

Advertisement

যুবরাজের নির্দেশেই এই প্রথম সেনাকর্মী হিসাবে কাজ করতে পারবেন সৌদির মহিলারা। সৌদির যুবরাজের ‘ভিশন ২০৩০’-এর অঙ্গ হিসাবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সৌদি আরবের জেনারেল সিকিউরিটি ডিভিশনের একটি বিবৃতি অনুযায়ী, রিয়াধ, মক্কা, আল কুসেইম এবং মদিনা প্রদেশে থাকা মহিলারা সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে পারবেন। আপাতত তাঁদের রণক্ষেত্রে নামতে না হলেও, পদাধিকারে তাঁরা ‘সেনা’র মর্যাদাই পাবেন। সুরক্ষাকর্মী হিসাবেই কাজ করার সুযোগ মিলবে সৌদি মহিলাদের।

Advertisement

ডিভিশনের বিবৃতি অনুযায়ী, ওই চাকরির জন্য আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে সৌদি মহিলাদের আবেদন করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। মোট ১২টি শর্ত পূরণ করতে পারলেই মিলবে সেনাবাহিনীতে কাজের সুযোগ।

আরও পড়ুন
দিল্লির আয়োজনে বিশাল নৌ-মহড়া, শেষ মুহূর্তে সরে দাঁড়াল মলদ্বীপ

আবেদনকারীদের বয়স হতে হবে ২৫ থেকে ৩৫-এর মধ্যে। শিক্ষাগত যোগ্যতায় ন্যূনতম হাই স্কুল পাশ ছাড়াও উচ্চতায় অন্তত ১৫৫ সেন্টিমিটার হতে হবে। শারীরিক এবং মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরেই সেনাবাহিনীতে তাঁরা যোগ দিতে পারবেন। যে জায়গায় সৌদি মহিলাদের নিয়োগ করা হবে, তাঁদের সেই এলাকার বাসিন্দা হওয়াটাও বাঞ্ছনীয়। তবে সরকারি চাকুরে বা সৌদির নাগরিক নন, এমন ব্যাক্তির স্ত্রী হলে আবেদন করতে পারবেন না বলে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন
তদন্ত শেষ, দুবাই থেকে ফিরছে শ্রীদেবীর দেহ

গত বছরেই ‘ভিশন ২০৩০’-র সূচনা করেছিলেন সৌদির যুবরাজ। আরব দুনিয়ায় তো বটেই, বিশ্বের অন্যতম রক্ষণশীল দেশ বলেও পরিচিতি রয়েছে সৌদির। তবে ২০১৫-য় ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সেই ভাবমূর্তি বদলাতে বদ্ধপরিকর যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন। আর্থিক সংস্কারের পাশাপাশি দেশের ধর্মীয় ও সামাজিক ক্ষেত্রের সংস্কারেও মন দিয়েছেন তিনি। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে এখনও সৌদির মহিলাদের উপর একাধিক বিধিনিষেধ রয়েছে। এখনও তাঁদের আপাদমস্তক হিজাবে ঢেকে বাইরে বেরোতে হয়। তবে গত মাসে পুরুষদের পাশাপাশি মাঠে বসে ফুটবল খেলা দেখার সুযোগ পেয়েছেন সৌদি মহিলারা। সুযোগ এসেছে পুরুষদের অনুমতি ছাড়াই স্বাধীন ভাবে ব্যবসা করার। চলতি মাসেই শ্রম মন্ত্রকে জায়গা করে নিয়েছেন দেশের প্রথম মহিলা উপমন্ত্রী। উঠে গিয়েছে ড্রাইভিংয়ের উপর নিষেধাজ্ঞাও। আগামী জুনেই ট্রাক-মোটরসাইকেল চালানোরও ড্রাইভিং লাইসেন্স পাবেন সৌদি মহিলারা।

এ বার মহিলাদের জন্য সেনার দরজা খুলে দিয়ে আরও বেশি উদার হওয়ার ইঙ্গিতই যেন বয়ে আনল সৌদি আরব।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন