Coronavirus

Coronavirus: ‘শরীরে কয়েক মাসও বাঁচতে পারে ভাইরাস’

গবেষণাটির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন আমেরিকার ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেল্‌থ’-এর বিজ্ঞানীরা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২১ ০৭:৪৭
Share:

প্রতীকী ছবি

দু’বছর আগে এমনই এক ডিসেম্বর মাসে চিনের উহান শহরে প্রথম শোনা গিয়েছিল রহস্যময় জ্বরের কথা। মাঝের সময়ে করোনাভাইরাসে অন্তত আধ কোটি মানুষের প্রাণ গিয়েছে বিশ্ব জুড়ে। অসংখ্য গবেষণা চলছে বিশ্বের নানা প্রান্তে। এমনই এক গবেষণায় সম্প্রতি দাবি করা হয়েছে, ‘করোনা সংক্রমণের কয়েক মাস পরেও শরীরে থেকে যেতে পারে ভাইরাস।’ গবেষণাপত্রটির নেচার জার্নালে প্রকাশিত হওয়া স্থির হয়ে আছে। তার আগে শনিবার গবেষণাপত্রটির খসড়া অনলাইনে প্রকাশ করা হয়েছে পর্যালোচনা করে দেখার জন্য। তাতেই জানা গিয়েছে এই তথ্য।

Advertisement

এই গবেষণায় বলা হয়েছে, সংক্রমণের কয়েক দিনের মধ্যে শ্বাসনালি থেকে একে একে মস্তিষ্ক, হৃদ্‌যন্ত্রের মতো বিভিন্ন অঙ্গে ছড়িয়ে পড়তে পারে ভাইরাস। এবং সেখানে মাসের পর মাস বাঁচতে পারে ভাইরাস। এই কারণেই অনেকে ‘লং কোভিড’-এ আক্রান্ত হচ্ছেন। অর্থাৎ দীর্ঘ সময় ধরে করোনা সংক্রমিত থাকছেন কিংবা কোভিড পরবর্তী অসুস্থতায় ভুগে চলেছেন।

গবেষণাটির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন আমেরিকার ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেল্‌থ’-এর বিজ্ঞানীরা। তাঁদের দাবি, এই প্রথম এত বিশদে বিশ্লেষণ করে দেখা হয়েছে সার্স-কোভ-২-র গতিপ্রকৃতি ও চরিত্র। এত দিন মনে করা হচ্ছিল, সংক্রমণের পর শ্বাসনালিতে ঢুকে ভাইরাসটি প্রতিলিপি গঠন করে। কিন্তু এই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, শ্বাসনালি ছাড়িয়ে শরীরের অন্যত্রও মানব কোষে প্রতিলিপি গঠন করতে সক্ষম অণুজীবীটি।

Advertisement

মিসৌরির সেন্ট লুই হেল্‌থ কেয়ার সিস্টেমের ক্লিনিক্যাল এপিডিমিয়োলজি বিভাগের প্রধান জ়িয়াদ আল-আলি বলেন, ‘‘উল্লেখযোগ্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ। দীর্ঘদিন হয়ে গেল আমরা বুঝে উঠতে পারছিলাম না, কোভিড হওয়ার এত দিন পরেও কেন রোগীর অসুস্থতা ঠিক হচ্ছে না! কেন বিভিন্ন অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে! এই রিপোর্টটি অন্ধকারে আলো দেখালো।’’ জ়িয়াদ ‘লং কোভিড’ নিয়ে কাজ করছেন। তিনিও এই বিষয়ের একটি গবেষণার সঙ্গে যুক্ত। জ়িয়াদ বলেন, ‘‘বহু ক্ষেত্রে এ রকম দেখেছি, কোনও কোভিড রোগীর হয়তো তেমন উপসর্গ ছিল না, হয়তো কোভিডে তেমন অসুস্থ হননি তিনি, অথচ কোভিডের পরে নানা অসুস্থতায় দীর্ঘদিন ধরে ভুগে চলেছেন। এত দিন এর উত্তর মিলছিল না।’’

সার্স-কোভ-২-র চরিত্র জটিল থেকে ক্রমে জটিলতর হচ্ছে। ভাইরাসের ডেল্টা স্ট্রেনকে সরিয়ে ক্রমশ ওমিক্রন মূল সংক্রামক স্ট্রেন বা ডমিন্যান্ট হয়ে উঠছে। অতিসংক্রামক স্ট্রেন ডেল্টার থেকেও ৭০ শতাংশ বেশি এর ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা। কিন্তু এর মারণ ক্ষমতা বা রোগীকে গুরুতর অসুস্থ করার ক্ষমতা তুলনায় কম বলে দেখা যাচ্ছে। যদিও বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এখনই সিদ্ধান্তে পৌঁছনো ঠিক নয়। সবটাই পর্যবেক্ষণ নির্ভর। নিউ ইয়র্কের স্বাস্থ্যকর্তারা যেমন জানাচ্ছেন, ওমিক্রনের ক্ষেত্রে বাচ্চাদের হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা বেড়েছে। নিউ ইয়র্কের স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। তারা জানিয়েছে, ১৮ বছরের নীচে কোভিড সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৪ গুণ বেড়ে গিয়েছে। এদের মধ্যে বেশির ভাগের বয়স ৫ বছরের কম। যাদের এখনও টিকা দেওয়া হচ্ছে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement