জঙ্গি হামলায় বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণকেন্দ্র। ছবি: রয়টার্স।
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল এবং পকতিকা প্রদেশে পাক বিমানহানার পরেই পাল্টা হামলা হল খাইবার পাখতুনখোয়ায়। আফগান সীমান্তবর্তী ওই প্রদেশের রাজধানী পেশোয়ারের অদূরে পুলিশ প্রশিক্ষণকেন্দ্রে ফিদায়েঁ জঙ্গিরা হামলা চালাল শনিবার ভোরে। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে দু’তরফের লড়াইয়ে অন্তত সাত জন পুলিশ এবং ছ’জন হামলাকারী নিহত হয়েছেন বলে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে।
বিদ্রোহী গোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) এই হামলা চালিয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পাক পুলিশ। সরকারি সূত্রের খবর, গভীর রাতে প্রাচীর টপকে ডেরা ইসমাইল খান জেলার রাত্তা কুলাচি পুলিশ প্রশিক্ষণকেন্দ্রে ঢূকেছিলেন হামলাকারীরা। এর পরেই তাঁদের সঙ্গে নিরাপত্তা রক্ষীদের গুলির লড়াই শুরু হয়। প্রসঙ্গত, আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে বৃহস্পতিবার রাতে বিমান হামলা চালিয়েছিল পাকিস্তান বায়ুসেনা। তাতে টিটিপি-র প্রধান নুর ওয়ালি মেহসুদ এবং সহকারী প্রধান কারি সাইফুল্লাহ মেহসুদ নিহত হয়েছেন বলে সেনা সূত্র উদ্ধৃত করে শুক্রবার দাবি করে পাক সংবাদমাধ্যমের একাংশ। এর পরে শুক্রবার সীমান্তবর্তী পকতিকা প্রদেশের মারঘি এলাকায় বাজারেও হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ।
ঘটনাচক্রে, তালিবান সরকারের বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির ছ’দিনের ভারত সফরের প্রথম দিনেই কাবুলকে নিশানা করেছে ইসলামাবাদ। বর্তমান ঘটনাপ্রবাহে যা ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করা হচ্ছে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে শুক্রবার রাতে পেশোয়ারেই সাংবাদিক বৈঠক করে পাক সেনার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দফতরের (আইএসপিআর) প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধরি আফগানিস্তানে হামলা চালানোর অভিযোগ স্বীকার করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘‘আফগানিস্তানের মাটি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আমরা তা বরদাস্ত করব না। পাকিস্তানি নাগরিকদের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় যে সব পদক্ষেপ প্রয়োজন, তা করা হবে।’’ এ বার সেই পেশোয়ারেই প্রত্যাঘাত করে নিজেদের শক্তি জানান দিল টিটিপি।