Corona virus

Oxford University - Covid-19: ভারতের আশ্চর্য জিনই কোভিডের যত নষ্টের গোড়ায়, দাবি গবেষণায়

ওই জিন যাঁদের শরীরে পাওয়া যায় তাঁদের ৬০ শতাংশই দক্ষিণ এশিয়ার মানুষ। ১৫ শতাংশ মানুষ ইউরোপের।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২১ ১৬:০২
Share:

বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলছেন, ভারত-সহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতে কেন করোনা আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার হার বেশি, তা এ বার বোঝা যাচ্ছে। প্রতীকী ছবি।

করোনা হলে অনেকক্ষেত্রে রোগীর শ্বাসযন্ত্র বিকল হওয়ার ঝুঁকি থাকে। চিকিৎসায় সেই ঝুঁকি এড়িয়ে সুস্থ হওয়া সম্ভব। তবে রোগী যদি এক বিশেষ জিনের অধিকারী হন তবে ঝুঁকি বেড়ে দ্বিগুণ হতে পারে, বলছে সাম্প্রতিক একটি গবেষণা।

জিনগত ত্রুটি সংক্রান্ত এই গবেষণাটি প্রকাশ করেছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। গবেষণাটির দাবি, বিশেষ ওই জিন শরীরে থাকলে তা কোষ এবং ফুসফুসকে কোভিডের বিরুদ্ধে যথা বিধি লড়তে দেয় না। ভাইরাসের বিরুদ্ধে শরীরের যুদ্ধে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। এতে ‘রেসপিরেটরি ফেলিওর’ বা শ্বাসযন্ত্র বিকল হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

তবে এই গবেষণাপত্রের যে অংশটি ভারতীয়দের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তা হল ওই জিনটির উৎস। গবেষকদের দাবি, ওই জিন যাঁদের শরীরে পাওয়া যায় তাঁদের ৬০ শতাংশই দক্ষিণ এশিয়ার মানুষ। ১৫ শতাংশ মানুষ ইউরোপের। গবেষণাটি প্রকাশ হওয়ার পর বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলছেন, ভারত-সহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতে কেন করোনা আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার হার বেশি, তা এ বার বোঝা যাচ্ছে। যদিও গবেষণাপত্রটির লেখক জানিয়েছেন, জিন দক্ষিণ এশিয়ার এই পরিস্থিতির অন্যতম একটি কারণ হলেও জিনকেই এর একমাত্র কারণ বলে ঠাওরানো যায় না। নির্দিষ্ট দেশের আর্থসামাজিক দিকগুলিও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

Advertisement

বিশেষ ওই জিনের নাম এলজেডটিএফএল১। গবেষকরা জানিয়েছেন,এই জিনের অধিকারী টিকাকরণে সুফল পাবেন। করোনা থেকে বড় বিপদ-আপদের ঝুঁকি কমবে তাঁদের।

তবে সমাধান হাতে থাকলেও গবেষণাটি গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এতে বোঝা যায়, করোনা সংক্রমিত হলে ফুসফুস কী ভাবে কাজ করবে তা সহজে অনুমেয় নয়। অনেকগুলি জানা এবং অজানা বিষয়ের উপরও এখনও নির্ভর করছে গোটা বিষয়টা।

Advertisement

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন