দক্ষিণ চিন সাগর।-ফাইল চিত্র।
দক্ষিণ চিন সাগর আবার বেজিং ও ওয়াশিংটনের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়িয়ে দিল।
বেজিং যে দক্ষিণ চিন সাগরের কৃত্রিম স্প্রাটলি দ্বীপপুঞ্জে সমরসজ্জা করছে, তা মোটেই বরদাস্ত করা হবে না বলে জানিয়ে দিলেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব জেমস ম্যাটিস। আর তার পরপরই চিনের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে সরকারি ভাবে জানানো হল, ‘যে ভাবেই হোক ওই এলাকায় চিন তার অধিকার বজায় রাখবে।’’
সিঙ্গাপুরে কয়েকটি দেশের নিরাপত্তা বিষয়ক সম্মেলনে চিনকে ওই বার্তা দিয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব ম্যাটিস বলেন, ‘‘চিন ওই কৃত্রিম দ্বীপপুঞ্জে সমরসজ্জা করলে আঞ্চলিক স্থায়িত্ব নষ্ট হবে। কারণ, প্রাকৃতিক সম্পদে ভরা দক্ষিণ চিন সাগরের এলাকা নিয়ে ওই অঞ্চলের অনেকগুলি দেশেরই কিছু দাবিদাওয়া আছে। আর সেগুলি এখনও মেটেনি। তাই আমরা চাইছি না, ওই এলাকার সাম্যাবস্থা কোনও ভাবে নষ্ট হোক।’’
তবে উত্তর কোরিয়ার লাগাতার ক্ষেপণাস্ত্র ও পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা বন্ধ করার লক্ষ্যে চিন যে আমেরিকার পাশে দাঁড়িয়েছে, তার প্রশংসা করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব।
দক্ষিণ চিন সাগর প্রশ্নে আমেরিকার অবস্থান যে কড়া হবে, তাঁর নির্বাচনী প্রচারের সময়েই তা জানিয়ে দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার পরেও বেশ কয়েক বার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, দক্ষিণ চিন সাগর দিয়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চলে। তাই কোনও দেশ (পড়ুন, চিন) যদি সেই এলাকার শান্তি, সুস্থিতি নষ্ট করে বা তা করার চেষ্টা করে, সেটা কিছুতেই মেনে নেওয়া হবে না। বছরের গোড়ার দিকে একই কথা বলেছিলেন মার্কিন বিদেশ সচিব রেক্স টিলারসনও।
আরও পড়ুন- সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর অনুপ্রবেশ প্রায় অর্ধেকে নেমেছে, দাবি রাজনাথের