(বাঁ দিকে) অমিত শাহ, নিতিন নবীন (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
বছর শেষে উপর্যুপরি পশ্চিমবঙ্গ সফরের সম্ভাবনা বিজেপির সর্বভারতীয় শীর্ষ নেতৃত্বের। প্রথমে আসতে পারেন কার্যকরী সভাপতি নিতিন নবীন। তার পরে আসার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। তবে বর্ষশেষের উৎসব-আবহের কথা মাথায় রেখে জনসভা বা প্রকাশ্য কর্মসূচি নয়। শাহ এবং নিতিনের সফরসূচি শুধু সাংগঠনিক বৈঠকেই সীমাবদ্ধ থাকছে বলে বিজেপি সূত্রে জানা যাচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গে শাহের কর্মসূচি ৩০ এবং ৩১ ডিসেম্বর। বিজেপি সূত্রের খবর, ২৯ তারিখ রাতেই তিনি কলকাতায় পৌঁছোবেন। পরবর্তী দু’দিনে নানা আকারের একাধিক সাংগঠনিক বৈঠক থাকবে। রাজ্য বিজেপির প্রথম সারির নেতৃত্ব বা এ রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক তো হবেই। প্রয়োজনে তার নীচের স্তরের প্রতিনিধিদের ডেকে কিছুটা বড় আকারের বৈঠকের আয়োজনও হতে পারে। এসআইআর আবহে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি কর্মীদের করণীয় সম্পর্কে বিশেষ কোনও বার্তা দিতে পারেন শাহ। সিএএ তরান্বিত করার বিষয়ে বিজেপির সাংগঠনিক উদ্যোগ সম্পর্কেও তাঁর বার্তা থাকতে পারে বলে বিজেপির একটি সূত্রের দাবি। তবে শাহ ঠিক কতগুলি বৈঠক করবেন, কখন করবেন, কোথায় করবেন, তার সূচি চূড়ান্ত নয়। তাই রাজ্য বিজেপির তরফ থেকে সে বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানানো হয়নি।
শাহের আগে রাজ্যে আসতে পারেন সদ্য মনোনীত সর্বভারতীয় কার্যকরী সভাপতি নিতিন। রাজ্য বিজেপির যে পুরনো নেতা বা পদাধিকারীরা এখন কোনও পদে বা দায়িত্বে নেই, তাঁদের নিয়ে ২৫ ডিসেম্বর জাতীয় গ্রন্থাগারে বৈঠকে বসছেন বর্তমান রাজ্য নেতৃত্ব। সেখানে দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা তো থাকবেনই। নিতিনও সেই কর্মসূচির জন্য কলকাতায় আসতে পারেন বলে বিজেপি সূত্রে জানা যাচ্ছে। তপন শিকদারের সভাপতিত্বের সময় থেকে দিলীপ ঘোষের সভাপতিত্বের মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত বিজেপিতে যাঁরা রাজ্য ও জেলা স্তরে গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারী ছিলেন বা বিধানসভা নির্বাচনে লড়েছিলেন, কিন্তু এখন কর্মক্ষম থাকা সত্ত্বেও কোনও দায়িত্বে নেই, তাঁদের সকলকে ভোটের আগে ময়দানে ফিরিয়ে আনাই বিজেপি নেতৃত্বের লক্ষ্য। সেই কারণেই অটলবিহারী বাজপেয়ীর জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বরে তাঁদের নিয়ে ওই কর্মসূচির আয়োজন। পুনর্মিলনের ধাঁচে আয়োজিত কর্মসূচি শুরু হবে সমবেত মধ্যাহ্নভোজের মাধ্যমে। তার পরে অটলের জীবন ও কাজের উপরে নির্মিত একটি ২০ মিনিটের তথ্যচিত্র দেখানো হবে। দুপুর ২টো থেকে ৪টে পর্যন্ত সাংগঠনিক আলোচনা। কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল এবং রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যই মূলত ভাষণ দেবেন। তবে নিতিন এলে তিনিই হবেন প্রধান বক্তা।