দু’বছর পরে এক টেবিলে দুই কোরিয়া

উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনের নির্দেশে এত দিন বন্ধ ছিল হট-লাইন পরিষেবা। বুধবার খুলে দেওয়া হয় তা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:০৪
Share:

দু’বছরেরও বেশি সময় পরে মুখোমুখি বসতে চলেছে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া।

Advertisement

উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনের নির্দেশে এত দিন বন্ধ ছিল হট-লাইন পরিষেবা। বুধবার খুলে দেওয়া হয় তা। ওই দিন দুপুরেই পিয়ংইয়ংয়ের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল সোলের সঙ্গে। দক্ষিণ কোরিয়া আজ জানিয়েছে, আগামী ৯ জানুয়ারি দু’দেশের মধ্যবর্তী সামরিক ক্ষেত্রে, সীমান্তবর্তী গ্রাম পানমুনজমে বৈঠকে বসবেন প্রতিনিধিরা।

সামনের মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার পিয়ংচ্যাংয়ে শুরু হচ্ছে শীতকালীন অলিম্পিক। পিয়ংইয়ং জানিয়েছে, অলিম্পিকে অংশ নিতে আগ্রহী তারা। তবে দু’দেশের সম্পর্কের উন্নতি ঘটানোই বৈঠকের মূল লক্ষ্য। দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারি মুখপাত্র বাইক তায়-হুন এ দিন বলেন, ‘‘দু’দেশের মধ্যে যৌথ উদ্যোগে কাজকর্ম ও প্রয়োজনীয় তথ্য আদানপ্রদান নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হবে ওই দিন।’’

Advertisement

আর এক পড়শি দেশ জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইতসুনরি ওনোদেরা অবশ্য সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিচ্ছেন সোলকে। ‘‘উত্তর কোরিয়াকে বহু বার সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু ওরা পরমাণু অস্ত্র তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ওরা কথা বলতে চেয়েছে বলে, সতর্কতাবিধি বা নজরদারি, আমাদের দিক থেকে কোনওটাই লঘু করা হবে না,’’ বলেন তিনি।

‘য়নসেই ইনস্টিটিউট ফর নর্থ কোরিয়ান স্টাডিজ’-এর বং ইয়ংশিকের আশা, এই বৈঠকের ফলে দুই পড়শি দেশের সম্পর্ক ভাল হবে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও লাভবান হতে পারে দু’দেশ। তাঁর কথায়, ‘‘দক্ষিণ কোরিয়া অবশ্য বিষয়টাকে একটা ফাঁদ হিসেবেই দেখছে। তবে উদ্বেগ কাটাতে হলে এই ফাঁদে পা দিতেই হবে ওদের।’’ বং-এর আশা, এই বৈঠক সফল হলে ভবিষ্যতে হয়তো আমেরিকা ও উত্তর কোরিয়াকে এক টেবিলে দেখা যাবে। বৃহস্পতিবারই দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জা-ইনের সঙ্গে কথা হয়েছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের। কোরীয় উপকূলের উদ্বেগ নিয়ে আলোচনা হয়েছিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement