সৎবাবার ধর্ষণের পরে হেনস্থা ‘বন্ধুর’ হাতেও

বছরের পর বছর  সৎবাবার যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের শিকার হত বাচ্চা মেয়েটি। সাহায্য চেয়েছিল অনলাইন গেমিং প্ল্যাটফর্মে আলাপ হওয়া এক যুবকের কাছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

টেনিসি শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:০৩
Share:

বছরের পর বছর সৎবাবার যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের শিকার হত বাচ্চা মেয়েটি। সাহায্য চেয়েছিল অনলাইন গেমিং প্ল্যাটফর্মে আলাপ হওয়া এক যুবকের কাছে। ব্রায়ান রজার নামে ওই যুবক অবশ্য সাহায্যের নামে আরও বিপদে ফেলেছিল বছর চোদ্দোর মেয়েটিকে। নানা অছিলায় চেয়ে বসেছিল ‘তথ্যপ্রমাণ’। সৎ বাবার হাতে ধর্ষিত হওয়ার ভিডিয়ো রজারকে পাঠিয়ে দিয়েছিল টেনিসির ওই কিশোরী। তারপর মেয়েটিকে অপহরণ করে ধর্ষণের সেই ভিডিয়ো অনলাইনে পোস্ট করে দেয় রজার। জানুয়ারি মাসে অপহৃত সেই কিশোরীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে রজার ও সৎবাবা র‌্যান্ডাল প্রুইটকে।

Advertisement

ঘটনাটি ১৪ জানুয়ারির। আগের দিন আগে রজার মেয়েটিকে বলেছিল, ‘‘তোমার সৎবাবা ঘরে ঢোকার আগে ফোনে রেকর্ডিং অন করে রাখবে।’’ তাই করেছিল মেয়েটি। তারপর ধর্ষণের সেই ভিডিয়ো পাঠিয়ে দিয়েছিল রজারকে। সাতশো মাইল পাড়ি দিয়ে সে দিনই উইসকনসিন থেকে টেনিসি চলে আসে রজার। মেয়েটিকে নিয়ে যায় নিজের বাড়িতে। পরে ওই ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়ে দেয়।

তিন ভাই-বোনের সঙ্গে বাড়িতেই পড়াশোনা করত ওই কিশোরী। গত ২৫ জানুয়ারি পুলিশ ও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে মেয়েকে খুঁজে দেওয়ার জন্য ‘আবেদন’ও জানিয়েছিল সৎ বাবা প্রুইট। কিশোরীর মা ক্রিস্টিনাকে বিয়ে করার পরে ওই কিশোরীকে দত্তক নিয়েছিল বছর একচল্লিশের প্রুইট।

Advertisement

১ ফেব্রুয়ারি পুলিশ রজারের বাড়ি থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে। প্রথমে রজার পুলিশকে জানায়, ওই কিশোরী সেখানে নেই। পরে পুলিশি তল্লাশিতে উদ্ধার হয় কিশোরী।

পুলিশি জেরার মুখে রজার প্রথমে দাবি করেছিল, সে ওই ভিডিয়ো ছড়ায়নি। কাউকে পাঠায়ওনি। তবে তার ফোন থেকে পুলিশ জানতে পারে রীতিমতো ক্যাপশন-সহ ভিডিয়োটি প্রচার করে

বেড়িয়েছে সে। জেরায় রজার জানিয়েছিল, মেয়েটির মোবাইল ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছিল সে, যাতে কেউ তার খোঁজ না পায়। পুলিশ অনলাইন চ্যাট ঘেঁটে দেখেছে, ধর্ষণের ভিডিয়ো রেকর্ড করার জন্য মানসিক ভাবে ওই কিশোরীর উপরে চাপ তৈরি করে রজার। প্রথমে রাজি না থাকলেও পরে রজারের কথা মেনে নেয় তরুণী।

দোষীসাব্যস্ত হলে রজারের অন্তত ১৫ বছর জেল হবে। যাবজ্জীবন জেল হতে পারে সৎবাবার। কিশোরীর মা ক্রিস্টিনার বিরুদ্ধে অবশ্য কোনও অভিযোগ আনা হয়নি। যদিও কিশোরী জানায়, প্রুইটের হাতে নির্যাতিত হওয়ার কথা মাকে বলেছিল সে। ক্রিস্টিনার সঙ্গে কথা বলা হলে তিনি জানান, মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত মেয়েকে সুস্থ করে তোলার দিকেই আপাতত নজর দিতে চান তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন