বিয়ে মানুষের জীবনের অন্যতম স্মরণীয় মুহূর্ত। যুগ যুগ ধরে একসঙ্গে থাকার সংকল্প নিয়ে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন দু’টি মানুষ। কিন্তু কোথাও ভুল হল কি? শুধু মাত্র দু’টি মানুষের মধ্যেই কেন, এমন অনেক নজির পাওয়া যায় যেখানে মানুষ বিয়ে করেছে অদ্ভুত কিছু পদার্থ এমনকি অশরীরীকেও! দেখে নেওয়া যাক সেরকমই কিছু ‘অদ্ভুত’ বিয়ের ঘটনা।
নুরুল মহজবিন হাসান। নিজের টেট্রিস ভিডিয়ো-গেমকে বিয়ে করার জন্য চর্চায় এসেছিলেন এই ছাত্রী। তিনি জানিয়েছিলেন যে বিভিন্ন গ্যাজেটের প্রতি যৌন আকর্ষণ বোধ করেন তিনি। বেশ কিছুদিন তিনি নিজের ক্যালকুলেটরের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি। এ ছাড়াও মনোরেল, আইপড ইত্যাদির প্রতি তীব্র আকর্ষণ বোধ করেন তিনি। তাঁর ঘরের চারপাশে ছড়িয়ে থাকে টেট্রিস-আকারের বস্তু।
পাস্কাল সেলিক। নিজের ডুভেট বা লেপকে বিয়ে করেছেন এই মহিলা। এই লেপটির সঙ্গেই তিনি জীবনের সবথেকে ঘনিষ্ঠ ও বিশ্বাসযোগ্য সম্পর্কে ছিলেন বলে জানিয়েছেন পাস্কাল। ৪৯ বছর বয়সে রীতিমতো ধুমধাম করে লেপটিকে বিয়ে করতে চলেছেন তিনি।
আমান্দা স্প্যারো লার্জ। জাগতিক পুরুষদের আর ভাল লাগছিল না এই আইরিশ মহিলার। অবশেষে ১৮ শতকের এক হাইতিয়ান জলদস্যুর প্রেতাত্মার মধ্যে নিজের ভালবাসা খুঁজে পাওয়ার দাবি করেছিলেন ৪৬ বছরের আমান্দা। সেই প্রেতাত্মার নাম জ্যাক বলে জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই দেখলেন সব কিছু যেন ঠিকঠাক চলছে না। অগত্যা সেই প্রেতাত্মার সঙ্গে ‘বিচ্ছেদ’-ও হয়ে যায় তাঁর।
লরা মেসি। ‘নার্সিসিজম’ এর আদর্শ উদাহরণ তিনি। ইতালীয় এই ফিটনেস ট্রেনার বিয়ে করেছিলেন নিজেকেই! সাদা গাউনে সেজে, কেক ও অন্যান্য উপকরণ— বিয়েতে উপস্থিত ছিল সবই। ছিল না শুধু বর-বেশে কোনও পুরুষ। তাঁর ৪০ বছরের জন্মদিনের আগে একটি দীর্ঘকালের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি।
আমান্দা লিবার্টি। ঝাড়বাতিকে বিয়ে করেছিলেন লিডস-এর এই যুবতী। জার্মানি থেকে কেনা ঝাড়বাতিটিকে দেখেই সেটির প্রেমে পড়ে যান বলে জানিয়েছেন আমান্দা। এর আগে ১৪ বছর বয়সে তিনি একটি ড্রামস সেটের প্রেমেও পড়েছিলেন বলে স্বীকার করেছেন আমান্দা।
আমান্দা রজার্স। কুকুরপ্রেমী এই আমান্দা ২০১২ সালে বিয়ে করেছিলেন তাঁর পোষ্য ‘শেবা’কে। এর আগে ২০ বছর আগে দক্ষিণ লন্ডন নিবাসী আমান্দার বিয়ে হয় যাঁর সঙ্গে, সেই বিয়ে দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। তার পরেই নিজের পোষ্যকে প্রায় ২০০ জন অতিথির সামনে বিয়ে করেন তিনি।
স্যাল ৯০০০। এই অদ্ভুত নামেই নিজেকে পরিচয় দেন জাপানের এই কম্পিউটার গেম পাগল ব্যক্তি। ২০০৯ সালে সেরকমই একটি কম্পিউটার গেমের একটি কাল্পনিক চরিত্র নেনে অ্যানেগাসাকিকে বিয়ে করেন তিনি।
অ্যামি উলফ। আনন্দ করতে ভয়ানক ভালবাসেন এই মহিলা। তাই সারাক্ষণ হইচই আর মজার মধ্যে থাকতে নিউইয়র্কের এই বাসিন্দা বিয়ে করেন পেনসিলভেনিয়ার একটি স্থায়ী মেলার মাঠের একটি ইলেক্ট্রিক নাগরদোলাকে।