বিভিন্ন ব্যাঙ্ক যখন বিজয় মাল্যকে ঋণ শোধের দাবি জানিয়ে হয়রান, কিঙ্গফিশার কর্তা তখন আইনের ফাঁক গলে বিদেশে আরামে দিন কাটাচ্ছেন। হাজার বার তলব করেও কয়েক কোটির এই ঋণ খেলাপির টিকি ছুঁতে পারছে না সরকারও। হতাশ সাধারণ মানুষের আক্ষেপ, এ দেশ না হয়ে অন্য দেশ হলে এত সহজে পার পেতেন না মাল্য। অন্য দেশের কথা এখনই হলফ করে বলা না গেলেও, কিঙ্গফিশার কর্তা যদি চিনে থাকতেন, তা হলেই তাঁর এত সহজে পার পাওয়া মুশকিল হত। সম্প্রতি প্রায় ৬০ লক্ষ ঋণ খেলাপিকে দেশের বাইরে পা দেওয়া তো বটেই, ট্রেনে যাতায়াতের উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করল চিনা সরকার। ব্যাঙ্কগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এঁদের নতুন কোনও ঋণ, কোনও ক্রেডিট কার্ড না দিতে। এমনকী এঁদের পদোন্নতিও সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
সম্প্রতি দেশের ৬৭ লক্ষ নাগরিককে কালো তালিকাভুক্ত করেছে চিনের সুপ্রিম কোর্ট। এঁদের মধ্যে বেশির ভাগই ঋণ খেলাপি। চিনা শীর্ষ আদালতের নির্দেশে এঁদের মধ্যে প্রায় ৬১ লক্ষের বিমানযাত্রা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রায় ২২ লক্ষ ঋণ খেলাপির সুপার ফাস্ট ট্রেন ভ্রমণেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তালিকায় থাকা প্রায় ৭০ হাজার উচ্চ পদস্থ কর্মচারির পদোন্নতি আটকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালতের নির্দেশের পরেও তালিকায় থাকা ব্যক্তিরা যাতে কোনও ভাবে বিমান বা ট্রেনে উঠতে না পারেন, সে দিকে খেয়াল রেখে এঁদের পাসপোর্ট এবং অন্য তথ্য রেল এবং বিমান সংস্থাগুলিকে দেওয়া হয়েছে। চিনের বৃহত্তম ব্যঙ্ক দ্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাঙ্ক অব চায়না ইতিমধ্যেই লক্ষাধিক ঋণ এবং ক্রেডিট কার্ডের আবেদন বাতিল করেছে।
উচ্চপদস্থ সরকারি এবং বেসরকারি কর্মী থেকে শুরু করে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা তালিকায় রয়েছেন অনেকেই।
আরও পড়ুন: ঘুষ কাণ্ডে গ্রেফতার স্যামসাং প্রধান