Charlier Kirk's Assassination Case

ছাদের উপরে দৌড়, তার পরে ঝাঁপ রাস্তায়, ধীরেসুস্থে উধাও! ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠ চার্লি হত্যাকাণ্ডে সন্দেহভাজনের নতুন ভিডিয়ো প্রকাশ এফবিআইয়ের

চার্লির হত্যাকারী এখনও অধরা। তাঁর খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। ঘটনাস্থল এবং তার আশপাশের বিভিন্ন জায়গায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন তাঁরা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১১:৫৪
Share:

(বাঁ দিকে) চার্লি কির্ক এবং সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ করেছে এফবিআই (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।

ছাদের উপর দিয়ে দৌড়ে কিনারায় চলে আসেন। তার পরে কিনারা থেকে নেমে পড়েন ওই বাড়ি লাগোয়া এক জালের উপর। তার পরে সেই জাল বেয়ে কিছুটা নেমে মাঠের উপর ঝাঁপ দেন। মাঠের উপর দিয়ে কিছুটা পথ দৌড়ে যান। তার পরে হাঁটতে হাঁটতে ধীরেসুস্থে রাস্তা পার করে ঢুকে পড়েন পাশের জঙ্গলে! মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী চার্লি কির্ককে গুলি করার পরে সন্দেহভাজনের পালানোর একটি ভিডিয়ো এ বার প্রকাশ্যে আনল মার্কিন তদন্তকারী গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই।

Advertisement

চার্লির হত্যাকারী এখনও অধরা। তাঁর খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। ঘটনাস্থল এবং তার আশপাশের বিভিন্ন জায়গায় সিসি ক্যামেরা ফুটেজ খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন তাঁরা। তেমনই এক সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আনল এফবিআই। ওই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, সন্দেহভাজন আততায়ী ছাদের উপর দৌড়াচ্ছেন। তার পর কিনারায় পৌঁছে নীচে নেমে আসেন। আবার দৌড় শুরু করেন। তার পরে পার্ক করা গাড়ির মধ্যে দিয়ে গিয়ে রাস্তা পার করে পাশের জঙ্গলে মিলিয়ে যান তিনি!

এফবিআই এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ১০ সেপ্টেম্বর বেলা ১২টা নাগাদ (স্থানীয় সময়) ওই সন্দেহভাজন ব্যক্তি ছাদে ওঠেন। তার পরে চার্লি কির্ককে গুলি করে হত্যার পর পালিয়ে যান। পালানোর সময় ইউটা ভ্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছের এক জঙ্গলের মধ্যে ফেলে যান একটি বন্দুক এবং কার্তুজ। এফবিআই আরও জানিয়েছে, ছাদ এবং সংগৃহীত প্রমাণের মধ্যে মিলেছে আততায়ীর পা, হাত এবং আঙুলের ছাপ। আততায়ী সম্পর্কে কোনও তথ্য থাকলে তা তদন্তকারীদের জানাতে বলেছে এফবিআই।

Advertisement

বুধবার আমেরিকার ইউটা ভ্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন ৩১ বছরের চার্লি। সম্প্রতি আমেরিকার কলোরাডো থেকে ভার্জিনিয়া পর্যন্ত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সফর করার পরিকল্পনা করেছিলেন নিহত রক্ষণশীল নেতা। নাম দিয়েছিলেন, ‘দ্য আমেরিকান কামব্যাক ট্যুর’। ওই সফরসূচির অংশ ছিল ইউটার ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোচনাসভায় যোগদান। সেখানে সমবেত পড়ুয়াদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন তিনি। হঠাৎই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন চার্লি। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

চার্লির মৃত্যুর পরই শোরগোল পড়ে যায়। ইউটার পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় একাধিক সংস্থা তদন্ত করছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়নি। এফবিআইয়ের বিশেষ তদন্তকারী আধিকারিক রবার্ট বোহলসের কথায়, ‘‘আমরা অভিযুক্তকে খুঁজে বার করার যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। আমরা এখনও নিশ্চিত নই, তিনি কোথায় লুকিয়ে রয়েছেন।’’ এফবিআই ইতিমধ্যেই এক সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ করেছে। তাঁর খোঁজ দিতে পারলে এক লক্ষ মার্কিন ডলার আর্থিক পুরস্কারের কথাও ঘোষণা করেছে তদন্তকারী দল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement