Charlie Kirk Assassination Case

শক্তিশালী স্নাইপার রাইফেলের গুলিতে খুন ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ চার্লি, উদ্ধার করে জানাল এফবিআই! তবে এখনও নিখোঁজ ঘাতক

চার্লির আততায়ী এখনও পর্যন্ত ধরা পড়েননি। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ ও গোয়েন্দাবাহিনী। তবে ইউটা ভ্যালি বিশ্ববিদ্যালয় লাগোয়া জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয়েছে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত স্নাইপার রাইফেল।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২০:৫৯
Share:

(বাঁ দিকে) নিহত রক্ষণশীল নেতা চার্লি কির্ক এবং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (ডান দিকে)। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

সাধারণ কোনও আগ্নেয়াস্ত্র নয়। অতি ক্ষমতাসম্পন্ন দূরপাল্লার স্নাইপার রাইফেলের গুলিতে খুন হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী চার্লি কির্ক। তদন্তকারী গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই সেই রাইফেল উদ্ধারও করেছে বৃহস্পতিবার। যদিও ২৪ ঘণ্টার পরেও সন্ধান মেলেনি খুনির।

Advertisement

বুধবার আমেরিকার ইউটা ভ্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন ৩১ বছরের চার্লি। সম্প্রতি আমেরিকার কলোরাডো থেকে ভার্জিনিয়া পর্যন্ত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সফর করার পরিকল্পনা করেছিলেন নিহত রক্ষণশীল নেতা। নাম দিয়েছিলেন, ‘দ্য আমেরিকান কামব্যাক ট্যুর’। ওই সফরসূচির অংশ ছিল ইউটার ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোচনাসভায় যোগদান। সেখানে সমবেত পড়ুয়াদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন তিনি। হঠাৎই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন চার্লি। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে ‘মৃত’ বলে ঘোষণা করা হয়।

চার্লির আততায়ী এখনও পর্যন্ত ধরা পড়েননি। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ ও গোয়েন্দাবাহিনী। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল, ভিড়ের মধ্যে পিস্তল জাতীয় কোনও ছোট আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে লুকিয়ে ছিল চার্লির খুনি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে চত্বরে লাগানো সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, চার্লির সভাস্থলের অদূরে একটি ভবনের ছাদে লুকিয়ে ছিল ওই বন্দুকবাজ। সামরিক কায়দায় মাটিতে শুয়ে টেলিস্কোপ-যুক্ত স্নাইপার রাইফেলের সাহায্যে যে ভাবে সে নিখুঁত নিশানায় প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে, তাতে ‘বিশেষ প্রশিক্ষণের ছায়া’ দেখছেন তদন্তকারীদের একাংশ।

Advertisement

ইউটার জননিরাপত্তা আধিকারিক বিউ ম্যাসন বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘সন্দেহভাজন খুনিকে কলেজ পড়ুয়া বলে মনে হচ্ছে। পুলিশের কাছে সন্দেহভাজনের ছবিও রয়েছে। আমরা তাকে গ্রেফতার করার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী।’’ অন্য দিকে, তদন্তকারী এফবিআই টিমের কর্তা রবার্ট বোহলস জানিয়েছেন, রাইফেলটি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের অদূরে একটি বনভূমিতে পাওয়া গিয়েছে। ঘটনাস্থলে মিলেছে খুনির হাত এবং পায়ের ছাপ। প্রসঙ্গত, চার্লি হত্যাকাণ্ডের জন্য আমেরিকার বিপ্লবী বামপন্থীদের বৃহস্পতিবার দায়ী করেছেন ট্রাম্প। সমাজমাধ্যমে তিনি লেখেন, “বিপ্লবী বামপন্থীরা চার্লির মতো দুর্দান্ত আমেরিকানদের নাৎসি এবং বিশ্বের কুখ্যাত অপরাধীদের সঙ্গে তুলনা করে গিয়েছেন। এই ধরনের প্রচারের জন্যই আজ আমেরিকাকে এমন সন্ত্রাসবাদী হামলার সাক্ষী হতে হল।”

আমেরিকার মাটিতে সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করার কাজে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের প্রত্যেককে খুঁজে বার করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প। নিহত চার্লিকে ‘মহান দেশপ্রেমিক’ বলে সম্বোধন করে ট্রাম্প বলেন, “তিনি আমেরিকাকে খুব ভালবাসতেন। স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার এবং আমেরিকার সাধারণ মানুষের জন্য লড়াই করে গিয়েছেন। এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের জন্য আমি শোকস্তব্ধ এবং ক্ষুব্ধ।” চার্লির হত্যাকাণ্ডকে আমেরিকার জন্য একটি ‘অন্ধকার মুহূর্ত’ বলেও বর্ণনা করেন ট্রাম্প।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement