রাষ্ট্রপুঞ্জ নিয়ন্ত্রিত আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)-র সঙ্গে অবশেষে আবার সমঝোতার পথে হাঁটল ইরান। মঙ্গলবার এ বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সমঝোতার পথ খুলেছে বলে আইএইএ-র দাবি। সমঝোতার শর্ত হিসেবে ইরান তাদের পরমাণু কেন্দ্রগুলিতে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক দলকে যেতে দেবে বলে বুধবার রাষ্ট্রপুঞ্জের সংস্থাটির তরফে বুধবার জানানো হয়েছে।
একই বার্তা এসেছে তেহরানের তরফেও। প্রসঙ্গত, গত ১৩ জুন রাতে ইরানের রাজধানী তেহরান এবং একাধিক পরমাণুকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছিল ইজ়রায়েলি যুদ্ধবিমান। ওই অভিযানের পোশাকি নাম ছিল, ‘অপারেশন রাইজ়িং লায়ন’! ঘটনাচক্রে, ইজ়রায়েলি হামলার দিনকয়েক আগে আইএইএ-র ডিরেক্টর জেনারেল রাফায়েল মারিয়ানো গ্রোসি জানিয়েছিলেন, পরমাণু বোমা নির্মাণের উদ্দেশ্যে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি চালাচ্ছে ইরান। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছিল ইরান।
ইজ়রায়েলি হামলার ন’দিন পরে ২২ জুন ইরানের তিনটি পরমাণুকেন্দ্র, ফোরডো, নাতান্জ় এবং ইসফাহানে হামলা চালিয়েছিল আমেরিকার বি-২ বোমারু বিমান। ফেলা হয় বাঙ্কার ব্লাস্টার সিরিজের সবচেয়ে শক্তিশালী বোমা জিবিইউ-৫৭। সেই অভিযানের পোশাকি নাম ছিল ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’। ২৪ জুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্যোগে যুদ্ধবিরতি হলেও ওয়াশিংটনের দাবি মেনে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করতে রাজি হয়নি তেহরান। যা নিয়ে নতুন করে অশান্তির আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল পশ্চিম এশিয়ায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আয়াতোল্লা খামেনেইয়ের দেশ সুর নরম করায় সামরিক সংঘাতের আশঙ্কা আপাতত দূর হল বলেই মনে করা হচ্ছে।